সাত্তার ভূঁইয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী আবু আসিফের খোঁজ মেলেনি ৪ দিনেও

বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী আবু আসিফ আহমেদ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আবু আসিফ আহমেদ
আবু আসিফ আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

শুক্রবারের পর থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চারদিনেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেহেরুন্নিছা।

তবে আবু আসিফের স্ত্রী এখনো পর্যন্ত তার স্বামী নিখোঁজ থাকার বিষয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। ফলে তার প্রকৃত অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন বলে দাবি করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। সোমবার দুপুরে তিনি বলেন, আবু আসিফ আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সদস্য আটক করেনি। তিনি হয়তো আত্মগোপনে আছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমদে মোটর গাড়ি প্রতীক নিয়ে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

তিনি অভিযোগ করে আসছিলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে তার ওপর চাপ ছিল। তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় থাকা কর্মী-সমর্থকদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল। তবে তিনি প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। এর পর শুক্রবার রাত থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এর আগে গত বুধবার আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণা দলের প্রধান মুসা মিয়াকে (৮০) হামলা ও সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আবু আসিফের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও তার শ্যালক সাফায়েত সুমনও নিখোঁজ। তিনি আশুগঞ্জের লালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

যোগাযোগ করা হলে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত দুই দিন আমার স্বামী ঘরে ফেরেনি। আমাদের লোকজনও ভয়ে আছে। আমাদেরও পালিয়ে থাকতে হচ্ছে।'

এ বিষয়ে থানায় বা কোথাও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, 'খুব শিগগির কিছু একটা করব।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, এখন পর্যন্ত ওই প্রার্থীর পরিবারের কেউ বিষয়টি আমাদের মৌখিক বা লিখিতভাবে জানায়নি। তবে আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। উনি আসলেই নিখোঁজ নাকি আত্মগোপনে আছেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

Comments