আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ: আজমত উল্লার বক্তব্যে ‘অত্যন্ত সন্তুষ্ট’ সিইসি

cec_habibullah.jpg
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানের বিরুদ্ধে ২ দফায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে তার বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন 'অত্যন্ত সন্তুষ্ট' হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তবে আজমত উল্লা খানের বিষয়ে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্তব্য করে সিইসি আরও জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন আর কোনো তদন্ত করবে না।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি। এর আগে এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে নিজের ব্যাখ্যা দেন আজমত উল্লাহ খান।

গত ২৭ এপ্রিল ছিল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ওই দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়ে আজমত উল্লা খান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এর ২ দিন পর ৩০ এপ্রিল ইসি আজমত উল্লাকে ঢাকায় সশরীরে এসে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে।

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার আজমত উল্লা আবারও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেদিন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে ভোট চান। সেখানে আজমত উল্লা খানও উপস্থিত ছিলেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রী নিজেও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ইসি আবারও চিঠি দেয় আজমত উল্লা খানকে।

আচরণিবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন আজমত উল্লা খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে ৭ মে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আজ এ বিষয়ে সিইসি বলেন, 'আজমত উল্লাহ খান অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভবিষ্যতে ভুল করবেন না। কিছু ভুল হয়েছে অজ্ঞাতসারে। আর যে সভাটি করেছিলেন সেটি সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে হয়েছে।'

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আচরণ বিধি ভেঙেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, 'কমিশন কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তার বক্তব্য বিবেচনা করে দেখা হবে। তিনি একজন স্থানীয় নেতা। তিনি বিনয়ের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।'

আজমত উল্লাহ খান দুঃখ প্রকাশ করেছেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, 'এত প্রশ্নের তো দরকার নেই।'

এ ব্যাপারে সিইসির ভাষ্য, 'যদি আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে সেজন্য আজমত উল্লাহ খান দুঃখ প্রকাশ করেছেন।'

বিষয়টি নিয়ে আজমত উল্লা খান সাংবাদিকদের জানান, তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি কোনো নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি। কমিশন থেকে যে সিদ্ধান্তে আসবে, তা তিনি মেনে নেবেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো বিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমান বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে।

এ ছাড়া কমিশন চাইলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারে।

 

Comments

The Daily Star  | English

One lakh stock accounts closed amid IPO drought in FY25

The stock market has almost closed the books on the fiscal year (FY) 2024-25 without a single company getting listed through an initial public offering (IPO), a rare event not seen in decades.

11h ago