সেনা মোতায়েন চেয়ে কূটনীতিকদের কাছে চিঠি পাঠালেন জায়েদা খাতুন
কূটনীতিকদের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানিয়েছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র্য প্রার্থী জায়েদা খাতুন।
গতকাল রোববার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের কাছে লেখা এক চিঠিতে তিনি এ অনুরোধ জানিয়েছেন।
চিঠিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২৩ পর্যবেক্ষণ এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাই কমিশনারকে দেওয়া হয়েছে জায়েদা খাতুনের চিঠি।
এর আগে জায়েদা খাতুন নির্বাচন কমিশন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে তিনি একই অনুরোধে চিঠি পাঠান।
চিঠিতে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করতে কূটনীতিকদের অনুরোধ করেন।
চিঠিতে জায়েদা খাতুন আরও লিখেছেন, 'আমি গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের মা। আপনারা সবাই অবগত আছেন যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আমার ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে। আমার ছেলের প্রতি যে অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে, তার প্রতিবাদের ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি।'
'আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান আমাকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন, আমার জনসংযোগে হামলা করছেন এবং আমার নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং এজেন্ট এবং সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। ব্যক্তিগত গুণ্ডা ও প্রশাসনের ছদ্মবেশে বিশেষ পুলিশ পরিচয়ে তাদের ভয় ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।'
জায়েদা খাতুনের অভিযোগ, তিনি এসব ঘটনা জানিয়ে একাধিকবার নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ১৮ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত ১৮ মে বিকেলে মহানগরীর টঙ্গীর ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে আজমত উল্লা খানের 'সন্ত্রাসী বাহিনী' তার গাড়িবহরে বাধা দেয় এবং নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে।
এসব কারণে তিনি বিদেশি কূটনীতিকদের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং সেনা মোতায়েনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে চাপ সৃষ্টি করতে চিঠিতে কূটনীতিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
Comments