গাজীপুর সিটি নির্বাচন

‘টঙ্গীতে যে কয়েকদিন প্রচারে গিয়েছি, বাধা দিয়েছে, হামলা হয়েছে’

‘টঙ্গীতে যে কয়েকদিন প্রচারে গিয়েছি, বাধা দিয়েছে, হামলা হয়েছে’
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর ও তার মা জায়েদা খাতুন। ছবি: স্টার

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারের সময় হামলায় নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। 

তিনি বলেছেন, 'আমি বাংলাদেশ সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি তো এখনি বুঝতাছি, ভোট ঠিকমতো পাব না। আপনারা দোয়া করেন, আমি যেন ২৫ তারিখ পর্যন্ত সুস্থ থাকি।'

শনিবার রাত সোয়া ১১টায় গাজীপুরের ছয়দানা (হারিকেন) এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গরুহাটা এলাকায় জায়েদা খাতুনের গণসংযোগে হামলা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর পূর্ব গোপালপুর এলাকায় জায়েদা খাতুনের জনসংযোগের সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গণসংযোগে ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

জায়েদা খাতুন আরও বলেন, 'আজমত উল্লা তো পুরোনো লিডার, আমি তো নতুন। উনি একদল করে আমি অন্যভাবে। আমার প্রতি এত অত্যাচার কেন। এ অত্যাচারের কী বিচার হবে না। যতই মারামারি করুক আমি মাঠ ছাড়ব না। আমি ২৫ তারিখ পর্যন্ত ভোটের আশায় থাকব।'

তিনি আরও বলেন, 'টঙ্গীতে যে কয়েকদিন প্রচারে গিয়েছি, বাধা দিয়েছে, হামলা হয়েছে। দেখছেন তো গাড়ি কীভাবে ভাঙচুর করছে। আমাদের সঙ্গে যারা ছিল তাদেরকেও হামলা করেছে, রক্তাক্ত করেছে। তাদের হামলা থেকে সাংবাদিকও রেহাই পাইনি। আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা তো আজমত উল্লাকে হামলা করে না। আজ (শনিবার) বিকেলে হামলার পর পুলিশ আমাকে বাসায় দিয়ে গেছে। ৫৭টি ওয়ার্ডে গেলে সবাই ভোট দিতে চায়।'

সংবাদ সম্মেলনে জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়ক ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আমরা মার্কা পেয়েছি ৯ মে। মার্কা পাওয়ার পর আজ শনিবার পর্যন্ত ১০ থেকে ১১ দিন অর্ধেক সময় আমাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বিভিন্নভাবে বাধা দিয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Abdul Hamid returns home after treatment in Thailand

Two police officials were withdrawn and two others suspended for negligence in duty regarding the former president's departure from the country

9h ago