২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাপ আমাদের ওপর পড়েছে: সিইসি

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাপ আমাদের ওপর পড়েছে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চাপ বর্তমান কমিশনের ওপর পড়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে চাই, আমাদের অধীনে আগামীতে যে নির্বাচন হবে, সেটা অবাধ-নিরপেক্ষ-শান্তিপূর্ণ হবে।

আজ রোববার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত মাঠ প্রশাসনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'ব্রিটিশ আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সেই নির্বাচনগুলো নিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে, তখন হয়তো এর মাত্রাটা অনেক কম ছিল। আমরা বর্তমানে যে নির্বাচনটা করতে যাচ্ছি, সেটার একটা বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগ বা বিতর্কের যে মাত্রাটা, একটু অতিরিক্ত। ১৪ এবং ১৮ এর চাপটা এসে আমাদের ওপর পড়েছে—এই নির্বাচন কমিশনের ওপর।'

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনাদের মনে রাখতে হবে, ক্রেডিবিল বলে একটা শব্দ আছে। এই শব্দটা শুধু আমাদের দেশের আইনে নয়, সব দেশের আইনে এবং আন্তর্জাতিক যে আইসিসিপিআর আছে ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস, সেখানেও ডেমোক্রেসির ক্ষেত্রে এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে; নির্বাচনগুলো ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা প্রতিপাদিত করতে পারব।'

ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে এটা সম্ভব মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক তথ্যগুলো ধারণ করে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেন। এদিক থেকে জবাবদিহিতা অনেক সহজ হয়ে গেছে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা, এটা শুধু অবাধ হবে তা না—এটা স্বচ্ছভাবে হচ্ছে দেখা যেতে হবে।

'বাজারে যে ধরণা আছে এখন, যেটা চাউর হয়েছে যে, নির্বাচনে আমাদের ওপর আস্থা নেই, সরকারের ওপর আস্থা নেই, এর ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। আমরা কিন্তু এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে চাই যে, না! আমাদের অধীনে আগামীতে যে নির্বাচনটা হবে, সেটা অবাধ হবে, নিরপেক্ষ হবে এবং শান্তিপূর্ণ হবে, একইসঙ্গে স্বচ্ছ হবে,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'স্বচ্ছতা আমরা দেখাতে চাইবো মিডিয়ার মাধ্যমে, অবজারভারদের মাধ্যমে। তারা যতটা সম্ভব তথ্য সম্প্রচার করে স্বচ্ছতা দেখাবে। মিডিয়ার ব্যাপারে আমাদের আরও একটি বক্তব্য আছে, এখন কিন্তু মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচারও সম্ভব। যেটাকে ডিসইনফরমেশন, মিস ইনফরমেশন বলে। সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বানিয়ে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। সেগুলো কিন্তু আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করব। যেসব সংস্থা আছে, যারা এগুলো দেখে থাকে, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করা হলে, আমাদেরও অবহিত করা হলে আমরাও তাৎক্ষণিকভাবে; যাতে ডিসইনফরমেশনের মাধ্যমে ভোটকে ঋণাত্মকভাবে প্রভাবিত করা না হয়। সেই বিষয়টা আমরা অবশ্যই দেখব।'

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, 'দায়িত্বটা বুঝে নেবেন। নির্বাচনটা অবাধ হতে হবে, নিরপেক্ষ হতে হবে, স্বচ্ছ হতে হবে, শান্তিপূর্ণ হতে হবে। শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। যদি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যায়, সে কারণে যদি ভোটাররা নির্বাচন কেন্দ্রে আসতে অপারগ হন বা অনাগ্রহী হন, সেটার দায়-দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তিত হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

4h ago