সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণার দাবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল
প্রতীকী ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা 'ঝুঁকিপূর্ণ' ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও জননিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবির নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা এবং একটি 'মনিটরিং সেল' গঠনের দাবি জানায় সংগঠনটি।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনের রেখে বাংলাদেশ আজ পরাশক্তিগুলোর কূটনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ায় এ দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। আমরাও আশা করতে চাই, উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও জোট আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করে তুলবে।

এতে বলা হয়, সবার অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও অতীতে ধর্মীয় ও জাতিগত আড়াই কোটি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্যে তা মোটেই সুখকর ছিল না। একদিকে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সংসদে যথাযথ অংশীদারত্ব-প্রতিনিধিত্ব থাকে না, অন্যদিকে নির্বাচনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে না।

নির্বাচনে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতাকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করে অসুস্থ রাজনৈতিক বাতাবরণ তৈরি করা হয়। নির্বাচনের পূর্বাপর ব্যক্তি হিসেবে নয়, সংখ্যালঘু হিসেবে টার্গেট করে তাদের ওপর নির্বিচারে নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়। ঘর-বাড়ি উপাসনালয়ে হামলা চালানো হয়, জোরপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়—বলা হয় স্মারকলিপিতে।

আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি, স্বার্থান্বেষী সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী সামাজিক ও রাজনৈতিক চক্র নানা জায়গায় মঠ-মন্দিরে, উপাসনালয়ে আবারও হামলা শুরু করেছে।

স্মারকলিপিতে মোট নয়টি দাবি তুলে ধরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

এসব দাবির মধ্যে আরও রয়েছে—নির্বাচনী ব্যালটে 'না' ভোটের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে প্রার্থী মনোনয়নে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সতর্ক ভূমিকা পালন করে; ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে, প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধার সম্মুখিন হতে না হয় এবং নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণে সমান সুযোগ পায়, সেই পরিবেশ সৃষ্টি; নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ; মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা নির্বাচনী প্রচার কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago