নারায়ণগঞ্জে ৫ আসনে ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ৭

নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার ৪৫ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
১৮ ডিসেম্বরের পর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়

নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার ৪৫ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই কার্যক্রম। এই সময় প্রার্থী ও প্রার্থীদের পক্ষে তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল, সঠিকভাবে ফরম পূরণ না করা, ঋণ খেলাপি হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে সাত স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আফাজ উদ্দিন মোল্লা জামানতের টাকা জমা না দেওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

এই আসনে আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ কে এম শহীদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, হাবিবুর রহমান, জোবায়ের আলম, জয়নাল আবেদীন চৌধুরীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ছয় জনের মধ্যে সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় জিকে মামুন দিদার ও ক্রেডিট কার্ডে ঋণখেলাপি হওয়ায় শরীফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে কমিশন। তারা দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন, তৃণমূল বিএনপির আবু হানিফ হৃদয় ও জাকের পার্টির মো. শাহজাহানের মনোনয়নপত্র।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ঋণ খেলাপি হওয়ায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের সিরাজুল হক ও জাকের পার্টির জামিল মিজির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে

বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের আবদুল্লাহ আল কায়সার, জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, বিএনএমের এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, বিকল্প ধারার নারায়ণ দাস, মুক্তিজোটের মো. আরিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এরফান হোসেন দীপ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফ ইসলাম ঝলক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সদস্য এ এইচ এম মাসুদ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী কায়সার হাসনাতের স্ত্রী রুবিয়া সুলতানা।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১১ প্রার্থীর মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম এবং ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল ও সঠিকভাবে ফরম পূরণ না করায় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টির ছালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সৈয়দ হোসেন, তৃণমূল বিএনপির আলী হোসেন, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সেলিম আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শহীদ উন নবী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের গোলাম মোর্শেদ রনির মনোনয়নপত্র।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে পাঁচ জন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির এ কে এম সেলিম ওসমান, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ এম এম একরামুল হক, জাকের পার্টির মোর্শেদ হাসান, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ছামসুল ইসলাম।

আসনটিতে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি।

Comments