কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তার ছোটভাইসহ ৩ প্রার্থীর ভোট বর্জন

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছেন তিন প্রার্থী। ছবি: স্টার

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন তার ছোট ভাইসহ তিন প্রার্থী।

তাদের অভিযোগ, কাদের মির্জা তাদের এজেন্টদের মারধর করেছেন, কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন এবং ভোটের আগের রাতে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।

তারা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেনের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

প্রার্থীরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন (টেলিফোন প্রতীক), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত কলম) এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা বেগম পায়েল (প্রজাপতি)।

ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, 'তারা প্রতিটি কেন্দ্রে সন্ত্রাসী নিয়ে এসেছে। কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিচ্ছে। এ কারণে আমি ভোট বর্জন করে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি।'

মিজানুর রহমান বাদল বলেন, 'সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই প্রায় ৪০টি কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। আমার এজেন্টদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ফরম কেড়ে নিয়েছে।'

'আবদুল কাদের মির্জা, তার ছেলে এবং ভাগ্নে এখানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই প্রহসনের নির্বাচন আমরা মানি না', যোগ করেন তিনি।

ফাতেমা বেগম পায়েল বলেন, 'একজন প্রার্থী হিসেবে যখন আমি নিজের ভোটটাই ভয়ে দিতে পারছি না, আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে এই প্রহসনমূলক নির্বাচন স্থগিত করে পুননির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল কাদের মির্জা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। সে (শাহাদাত হোসেন) ওবায়দুল কাদেরকে কলঙ্কিত করেছে। সে আমাদের ভাই না, তাকে আমরা ভাই বলে মানি না।'

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেনের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Polls could be held in mid-February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has said the next general election could be held in the week before the start of Ramadan in 2026.

2h ago