ডিসেম্বর ঘিরে নির্বাচনের প্রস্তুতি, কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ জুন-জুলাইয়ে: ইসি

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আহমেদ দীপ্ত/স্টার

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত টাইমলাইন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী জুন-জুলাই মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কক্ষে এ নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, 'রিপিটেডলি ঘোষিত যে টাইমলাইন, সেই টাইমলাইনকে ঘিরেই আমরা এগোচ্ছি। সেটি হচ্ছে ডিসেম্বর।'

এদিন বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর নির্বাচনের সময় নিয়ে বিএনপির অসন্তোষ প্রকাশের ভেতরেই এ কথা বললেন আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল দলটির সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।  বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনো সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন তাদের দেননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ঘোষণা করা হবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'এই কমিশন শপথ নেওয়ার পর থেকেই নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা ধরেই এগোচ্ছি। সেই পরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে আসনের প্রশাসনিক নাম পরিবর্তনের কাজ চলছে। ভোটার তালিকার কাজ আমরা শেষের পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। দলের নিবন্ধনের কাজেও আমরা একটা পর্যায়ে এসেছি।'

আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, 'আইনের সংশোধনী পেলে সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন মাস তিনেকের মধ্যে শেষ করা যাবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ওয়ারকপ্ল্যানের প্রি-ওয়ার্ক আমরা শেষ করতে পারব।

'আশা রাখি আমরা, মুদ্রিত যে কর্মপরিকল্পনা, যেটি সাধারণত নির্বাচনের আগে ইসি প্রকাশ করে থাকেন, সেটি জুন-জুলাইয়ের দিকে প্রিন্টেড পেয়ে যাবেন।'

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার জানান, 'এ যাবত তিনটি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে এবং অনেকেই সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে। ২০ এপ্রিল আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। গত কমিশনের সময় প্রায় ১০০টি আবেদন পড়েছিল।'

নিবন্ধিত দলগুলোকে নিয়ে মত বিনিময় করা হবে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'নিবন্ধিত দলগুলোকে নিয়ে যেন আমরা বসতে পারি সেজন্য আমরা গণবিজ্ঞপ্তটি জারি করেছি। ছয়মাস সময় লাগে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করতে। যেহেতু সরকার ঘোষিত টাইমলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করছি, সেহেতু আমরা আশা করি ২০ তারিখের ভেতরই নিবন্ধনের আবেদন পাব এবং যথাসময়ে কাজ শেষ করব।'

Comments

The Daily Star  | English
problems faced by Bangladeshi passport holders

The sorry state of our green passports

Bangladeshi passports are ranked among the weakest in the world.

8h ago