মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে ৪টি করে সংসদীয় আসন দাবি

মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলায় আগের মতোই চারটি করে সংসদীয় আসন রাখার দাবি জানিয়েছেন জেলা দুইটির বাসিন্দা ও বিএনপি কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণের শুনানিতে তারা এ দাবি জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। এর সঞ্চালনা করেন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ।
শুনানিতে অংশ নিয়ে মানিকগঞ্জের বাসিন্দা খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, '২০০১ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলায় চারটি সংসদীয় আসন ছিল। ২০০৮ সালে মানিকগঞ্জে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করা হয়। এতে করে সংসদে মানিকগঞ্জের জনগণের প্রতিনিধিত্ব কমেছে। চারটি আসন থাকাকালীন মানিকগঞ্জে যে বরাদ্দ ছিল, সেটা পরবর্তীতে কমে গেছে। আমরা চারটি আসনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি।'
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা বলেন, 'আমি এসেছি মানিকগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। ২০০১ সালের মতো চারটি আসন এখন মানিকগঞ্জের সবস্তরের মানুষের দাবি।'
মুন্সিগঞ্জের বর্তমান তিনটি আসন বাড়িয়ে ২০০১ সালের মতো চারটি করার দাবি তোলা হয়েছে।
গত রোববার থেকে নির্বাচন কমিশনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণের শুনানি শুরু হয়। এদিন ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানি চলাকালে সিইসি ও চার কমিশনারের সামনে মারামারি করেন বিএনপির দুইপক্ষ।
আজ ঢাকা অঞ্চলের দাবি ও আপত্তির শুনানি চলছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ-১, ২, ৩; মুন্সিগঞ্জ ১, ২, ৩; গাজীপুর ১, ২, ৬; নরসিংদী-৩, ৪, ৫, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪, ৫; দুপুর আড়াইটা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ১০, ১৪, ১৫, ১৬, ১৮ ও ১৯ আসনের শুনানি হবে। শুনানি চলবে বুধবার পর্যন্ত।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। গত ১০ আগস্টের মধ্যে ৮৩টি সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা হয়। ২৪ আগস্ট থেকে চারদিন দাবি-আবেদন নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে কমিশন।
কমিশনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গাজীপুর
শুনানিতে বাগেরহাটবাসী নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করলেও উল্টোচিত্র গাজীপুরে। একটি সংসদীয় আসন বাড়ানোয় শুনানিতে গাজীপুরের বাসিন্দারা কমিশনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।
শুনানিতে বিএনপি নেতা একেএম ফজলুল হক মিলন বলেন, 'আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল গাজীপুরে আসন বাড়ানোর। সিইসি ও অন্য যে নির্বাচন কমিশনার বর্তমানে রয়েছেন, তারা অতীতের যেকোনো সময়ে চেয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় এক নম্বরে রয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'বেশি প্রশংসা করবো না। আপনারা গাজীপুরবাসীর প্রতি যে বদান্যতা দেখিয়েছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। আপনারা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়ায় ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
Comments