প্রতিবন্ধী-বয়স্কদের সহায়তায় ভোটকেন্দ্রে স্কাউট-বিএনসিসি নিয়োগের পরিকল্পনা

প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক বা শারীরিকভাবে অক্ষমদের সহায়তায় ভোটকেন্দ্রে স্কাউট, বিএনসিসি বা স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আজ রোববার বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাশনাল কনসালটেশন অন ইনক্লুসন অব পারসন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটিস ইন ইলেকটোরাল প্রসেস শীর্ষক এক কর্মসূচিতে তিনি এ পরিকল্পনার কথা বলেন।
মো. সানাউল্লাহ বলেন, 'সমাজ, দেশ ও জাতি হিসেবে আমাদের অনেক বেশি করণীয় আছে৷ এটা সমাজের একটা মার্কারও বটে—পরিচয় বহন করে যে আমরা কিভাবে প্রতিবন্ধীদের ট্রিট করি। শপিংমল, রাস্তায় তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয় না। সার্বিকভাবে পুরো সমাজেই আমরা তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে পারিনি। নির্বাচন কমিশনও এর বাইরে নয়। এটা দুঃখজনক।'
তিনি বলেন, 'তাদের যে অধিকার পাওয়ার কথা, আমরা কিছুটা এগিয়েছি। আরও অনেক পথ এগুতে হবে। সবার ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। শুধু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নয়, যাদের হাতটা কাঁপে, কেন্দ্রে যেতে পারেন না; কেবল প্রতিবন্ধী নয়, যারা বয়স্ক, তাদেরও সহায়তা দেওয়ার বিধান আছে।'
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, 'আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে বাস্তবসম্মত যা যা করা সম্ভব সব করবো। সহায়ক নিয়োগ করতে পারি কি না—স্কাউট, বিএনসিসি—এটা নিয়ে ভাবছি। পাশাপাশি যৌক্তিক আলোচনা এসেছে পরিবহন সুবিধা নিয়ে, এটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।'
তিনি বলেন, 'আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তুলনামূলক ভালো করবো ইনশাল্লাহ। আমরা যেখানে নির্বাচনই ভুলে গিয়েছিলাম, সেখানে এবার ডিজেবল পিপলদের জন্য ভাবছি—এটা ৩৬ জুলাইয়ের ফসল।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা জেলখানার কয়েদিদের ভোটের বিষয়ে জেল অথরিটির সঙ্গে কথা বলেছি, প্রবাসীদের জন্য, ভাসমান মানুষদের জন্যও , ভোটের ব্যবস্থার কথা ভাবছি।'
ইউএনডিপি, নির্বাচন কমিশন ও সাইটসেভারর্স আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রতিবন্ধীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, 'সংবিধানের কোনো ধারাতেই ডিএবিলিটিজদের কোনো রেস্ট্রিকশন আনা হয়নি। আমাদের দিক থেকেও তাদের ভোটে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই।'
Comments