বাইসাইকেল বিক্রি বেড়েছে লালমনিরহাটে, দামও বেশি

ছবি: স্টার

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার দুড়াকুটি বাইসাইকেল হাটে। ক্রেতার সংখ্যা বেশি দেখে সাইকেলপ্রতি দামও বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।

আজ শনিবার দুড়াকুটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল থাকার পরও অনেক ক্রেতা বাজারে এসেছেন বাইসাইকেল কিনতে। 

আগের তুলনায় আজ বাইসাইকেল বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন কয়েকজন বাইসাইকেল ব্যবসায়ী। 

জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাইসাইকেল ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন সাপ্তাহিক এই হাটে। নতুন ও পুরান দুই ধরনের বাইসাইকেলই পাওয়া যায় এই হাটে। তার মধ্যে ৭০ ভাগ সাইকেল থাকে পুরনো বাকি ৩০ ভাগ নতুন বাইসাইকেল। মূলত ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা বাইসাইকেল আনা হয় এ হাটে বিক্রির জন্য।

হাটে বাইসাইকেল কিনতে আসা আমজাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি একটি নতুন বাইসাইকেল কিনেছি ৮ হাজার ৫০০ টাকায়। আমার মোটরসাইকেল আছে কিন্তু পেট্রোলের দাম বেড়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেল চালানো কমিয়ে দেব। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মোটরসাইকেল চালাব না। আশপাশে কোথাও যেতে বাইসাইকেল ব্যবহার করব।'

ছবি: স্টার

হাটে আসা একজন বাইসাইকেল ব্যবসায়ী জানান, শনিবার বিকেলে হাটে প্রায় ২৫০টির মতো বাইসাইবেল উঠেছিল বিক্রির জন্য। অন্যান্য দিন যেখানে ২০০টির মতো সাইকেল ওঠে। 

তিনি আরও জানান, আগে হাটে ওঠা সাইকেলগুলোর মধ্যে ৫০-৬৫ শতাংশ বিক্রি হতো। আজ সেখানে প্রায় ৮০ শতাংশ সাইকেল বিক্রি হয়েছে।

বাইসাইকেল বিক্রেতা নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'অনেক মোটরসাইকেল মালিককে হাটে বাইসাইকেল কিনতে দেখা গেছে। আজ হাটে প্রতি বাইসাইকেল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যে পুরান সাইকেল ৩০০-৩৫০ টাকা বেশি ও নতুন সাইকেল ৪০০-৫০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, শুক্রবার পর্যন্ত যেসব নতুন বাইসাইকেল ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল আজ হাটে সেগুলো বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা দরে। এ ছাড়া যেসব পুরান বাইসাইকেল আগে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হতো আজ সেগুলোর প্রতিটির দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি ছিল। 

সিরাজুল ইসলাম নামে একজন বাইসাইকেল ক্রেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হঠাৎ বাইসাইকেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আজ কিনিনি। গত হাটে যে পুরান বাইসাইকেলের দাম ছিল ৪ হাজার টাকা, আজ সেগুলো দাম অন্তত ৩০০ টাকা বেশি।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক মোটরসাইকেল মালিক বাইসাইকেল কিনতে আসায় বিক্রেতারা বেশি দামে বাইসাইকেল বিক্রি করেছেন।'

হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেককে বাইসাইকেল না কিনেও ফিরে যেতে দেখা গেছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

6h ago