‘টার্গেট’ এলাকায় জোরদার অভিযান, অলিগলি টহলে মোটরসাইকেল

রাজধানীর সব এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর জন্য মোটরসাইকেল ক্রয় করাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটি। 

গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কোর কমিটির সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে– 

১. রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি বাড়াতে হবে। অপরাধ প্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে 'টার্গেট' এলাকায় জোরদার অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

২. রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নৌবাহিনীর একটি অতিরিক্ত পেট্রোল এবং কিছু এলাকায় কোস্টগার্ডের একটি অতিরিক্ত পেট্রোল নিয়োজিত থাকবে।

৩. পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপ-পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড-প্রধান এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রতিটি ঘটনার পর গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন।

৪. ডিএমপির পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয় করা হবে, যাতে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের ধরা যায়।

৫. ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অবস্থান করতে পারে এমন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

৬. ঢাকা শহরের বাইরে—বিশেষ করে টঙ্গি, বসিলা, কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকাতেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক টহল বাড়ানো হবে।

৭. ৫০০ এপিবিএন (আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন) সদস্য ডিএমপিতে ন্যস্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে।

৮. থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আইনের আওতায় আনতে তড়িৎ ব্যবস্থা নেবে।

৯. মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য তথ্যগুলো প্রচারে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কোর কমিটির সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

US opens door to tariffs on pharma, semiconductors

The trade war is raising fears of an economic downturn as the dollar tumbles and investors dump US government bonds, normally considered a safe haven investment.

43m ago