সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট তথ্য চায়নি: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশি নাগরিকদের জমা রাখা অর্থের বিষয়ে সুইস ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড।
আজ বুধবার ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসাসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছাতে করণীয় সম্পর্কে সম্ভাব্য সব তথ্য আমরা সরকারকে দিয়েছি। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো তথ্যের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এ ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব এবং এ ধরনের চুক্তিও হতে পারে। এটি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গেও কাজ করতে পারি।'
তিনি জানান, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে সুইস ব্যাংকে রাখা ব্যক্তিদের অর্থের পরিমাণ সম্প্রতি কমেছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত ৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
সুইজারল্যান্ড তার ব্যাংকে অবৈধ সম্পদ জমা করতে জনগণকে উৎসাহিত করে কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত জানান, তার দেশ তা করেনি। সুইস ব্যাংকিং সিস্টেম বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত। সুইস ব্যাংক দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ অবদান রাখে।
ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন।
Comments