যে শোক ভুলবার নয়
১৯৭৫ সালের ১৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা যখন তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির কার্লসরুতে ফিরে আসেন, তখনো তারা জানতেন না বাংলাদেশে তাদের বাবার সঙ্গে কী ঘটেছে।
তখনো তাদের বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার খবর জানানো হয়নি। তবে তারা বুঝতে পেরেছিল যে তাদের বাবার সঙ্গে ভয়ানক কিছু ঘটেছে।
১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর যখন তারা কার্লসরুতে ফিরে আসেন, তখন আর ২ বোনকে দেখে যেন চেনা যায় না। পঁচাত্তরের আগস্টে বেশ কয়েকদিন পশ্চিম জার্মানির কার্লসরুতে ২ বোনের সঙ্গে ছিলেন শহীদ হোসেন। তিনি বলেন, যে বাড়িটিতে তারা ছিলেন সেটি হঠাৎ করে বেদনার্ত রূপ নেয়।
শেখ হাসিনা, তার বোন এবং সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে ৩০ জুলাই তার স্বামী পরমাণুবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং বন শহরে যাওয়ার আগে ৯ আগস্ট পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন।
ওয়াজেদ মিয়া কার্লসরু নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারে পোস্টডক্টরাল গবেষণার জন্য মার্চে পশ্চিম জার্মানিতে যান। সেখানে থাকার সময় শহীদ হোসেন ও ওয়াজেদ মিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
শহীদ হোসেন গত সপ্তাহে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রেহানা প্রায়ই কান্নাকাটি করতেন… জয় ও পুতুলের বয়স এত কম যে তারা পুরোপুরি বুঝতে পারত না কী হচ্ছে। মানসিক আঘাতের কারণে ওয়াজেদ ভাই সবসময় আতঙ্কে থাকতেন। এমনকি, তিনি আমাকে তাদের সঙ্গেও থাকতে বলেছিলেন। তিনি রাতে সব দরজা ঠিকমতো বন্ধ করা আছে কি না পরীক্ষা করতেন।'
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার ইউনিভার্সিটি অব ন্যাচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস-এ নিউক্লিয়ার/এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত শহীদ হোসেন বলেন, 'শেখ হাসিনা অন্য রকম ছিলেন। এত বড় ক্ষতি সত্ত্বেও তার মধ্যে ভয় ছিল না, তিনি শান্ত ছিলেন।'
'১৮ আগস্ট যখন কার্লসরুতে ফেরেন, তখন তারা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। কয়দিন আগের থেকে কী বৈপরীত্য! হাসিনা আপা ও রেহানা কার্লসরুতে প্রথম দিকের দিনগুলোয় বেশ হাসিখুশি ছিলেন। তাদের চোখে নতুন দেশে অনেক নতুন জিনিস দেখার আনন্দ ছিল। কিন্তু, কে ভেবেছিল সেই আনন্দ কয়েকদিনের মধ্যেই মুছে যাবে। কার্লসরু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে প্রভাষক ওয়াজেদ মিয়ার জন্য বরাদ্দ গেস্ট হাউজে শেখ হাসিনাসহ অন্যরা ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ছিলেন।
শহীদ হোসেন বলেন, তিনি ও ওয়াজেদ মিয়া স্থানীয় পুলিশকে বাংলাদেশের ঘটনা সম্পর্কে জানানোর পর পুলিশের টহল দল তাদের বাড়িতে নজর রাখার ব্যাপারে আশ্বস্ত করে। কিন্তু, ওয়াজেদ মিয়া এটাকে যথেষ্ট মনে করেননি।
পঁচাত্তরের জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ইউরোপ সফর এবং সে সময় দেশে পরিবারের সদস্যদের হত্যার খবরে তাদের ওপর যে দুর্যোগ নেমে আসে তার ওপর ভিত্তি করে '১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড: প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন' বই লিখেছেন সরাফ আহমেদ।
সরাফ ডেইলি স্টারকে জানান, তারা ১২ আগস্ট বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, ১৪ আগস্ট নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে যান এবং রাতে ব্রাসেলসে ফিরে আসেন। ১৫ আগস্ট তাদের প্যারিসে যাওয়ার কথা ছিল। এই সফরের কারণেই বঙ্গবন্ধুর ২ কন্যা বেঁচে যান।
সরাফের বই এবং ওয়াজেদ মিয়ার লেখা 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ' অনুসারে, বঙ্গবন্ধুর বর্বর হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ব্রাসেলসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাসভবনের টেলিফোন বেজে উঠে।
পশ্চিম জার্মানি থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর ফোন পেয়ে ওয়াজেদ মিয়াকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন সানাউলের স্ত্রী। ওয়াজেদ মিয়া তার স্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন ধরতে পাঠান। দুই-তিন মিনিটের মধ্যে তিনি ফিরে এসে জানান যে রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গেই কথা বলতে চান।
ওয়াজেদ দোতলায় আসেন। তিনি সানাউলকে দেখেন মাথা নিচু করে চিন্তিত ভঙ্গিতে ওপরে উঠছেন, আবার নামছেন। কিন্তু, তাদের মধ্যে কোনো কথা হলো না।
ওয়াজেদ মিয়া ফোনের রিসিভার তোলার সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী বললেন, বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। প্যারিসে যাবেন না। হাসিনা আর রেহানাকে এসব বলবেন না। দ্রুত বন (পশ্চিম জার্মানির রাজধানী) আসুন।
দেশে আসলে কী হয়েছে ওয়াজেদ মিয়া জিজ্ঞাসা করলে হুমায়ূন রশীদ বলেন, আমি এর বেশি কিছু জানি না।
ওয়াজেদ ধীরে ধীরে তাদের ঘরে ফিরে গেলেন এবং দুশ্চিন্তায় থাকা শেখ হাসিনা তাকে জিজ্ঞেস করলেন হুমায়ূন তাকে ফোনে কী বলেছেন। ওয়াজেদ মিয়া উত্তর দেন যে হুমায়ূন তাদের প্যারিস সফর বাতিল করে বনে ফিরে যেতে বলেছেন।
হাসিনা ও রেহানার বারবার জিজ্ঞাসার পর, ওয়াজেদ মিয়া তাদের বলেন যে বাংলাদেশে একটি গুরুতর ঘটনা ঘটেছে যার জন্য তাদের প্যারিসে যাওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। একথা শুনে ২ বোন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সরাফ আহমেদ বলেন, 'রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্রাসেলসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সানাউল হক। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা জেনে তিনি হাসিনা ও রেহানাকে তার জন্য সমস্যা মনে করেন। তিনি হুমায়ূনকে বললেন, 'তুমি এই সমস্যাগুলো আমার ওপর চাপিয়ে দিয়েছ, এই সমস্যাটা তাড়াতাড়ি দূর করো।'
অন্যান্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্রাসেলস ত্যাগ করে বিকেলে বনে হুমায়ূন রশিদের ফ্ল্যাটে উঠেন। বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন যুগোস্লাভিয়া সফর করে তখন দেশে ফিরছিলেন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে তিনি হুমায়ূনের বাসায় চলে যান। এর আধা ঘণ্টার মধ্যে শেখ হাসিনাসহ অন্যরা সেখানে পৌঁছান।
ওয়াজেদ মিয়া ১৫ আগস্টের ঘটনা সবিস্তারে জানতে চান। হুমায়ূন তাকে সবকিছু বলেন। তবে শর্ত দেন হাসিনা ও রেহানা নিরাপদ জায়গায় না পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি যেন কিছু না জানান। তিনি বলেন, বিবিসির খবর অনুযায়ী রাসেল ও বেগম মুজিব বাদে কেউ বেঁচে নেই। ঢাকায় ব্রিটিশ মিশনের প্রচার করা বিবরণীতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ বেঁচে নেই।
তখন ওয়াজেদ মিয়া জিজ্ঞাসা করেন, কোন জায়গা তাদের জন্য নিরাপদ হবে। হুমায়ূন বলেন, ভারত ছাড়া আর কোনো দেশ তাদের জন্য নিরাপদ নয়।
পরদিন বনে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে যোগ না দিয়েই ড. কামাল লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন। তখন গণমাধ্যমে গুজব রটে যে বঙ্গবন্ধুর ২ কন্যাকে বনে রাষ্ট্রদূতের বাসায় আটক করা হয়েছে। সাংবাদিকরা বাড়িতে এসে এর সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ২ বোনকে সাংবাদিকদের সামনে আনতে হয়। ঘটনাটি নিয়ে জার্মানির এক সংবাদপত্রে খবর বের হয় বলে সরাফের বইয়ে উল্লেখ আছে।
১৬ আগস্ট রাত ১১টায় হুমায়ূন গাড়ি চালিয়ে ওয়াজেদ মিয়াকে নিয়ে একটি জায়গায় যান। ভারতীয় এক কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেখান থেকে চলে যান। ওই কর্মকর্তা ওয়াজেদ মিয়াকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে নিয়ে যান।
আলোচনার এক পর্যায়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ওয়াজেদ মিয়াকে বলেন, ভারত সরকারের কাছে তিনি কী চান তা লিখে দিতে। ওয়াজেদ কাগজে লিখেন—'শ্যালিকা রেহানা, স্ত্রী হাসিনা, শিশু ছেলে জয়, শিশু মেয়ে পুতুল এবং আমার নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও প্রাণ রক্ষার জন্য ভারত সরকারের নিকট কামনা করি রাজনৈতিক আশ্রয়।'
সরাফ আহমেদ বলেন, সে সময় মোহাম্মদ আতাউর রহমান বনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন। হাসিনা ও অন্যদের ভারতে সরিয়ে নেওয়ার জন্য হুমায়ূন রশীদ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আতাউর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিষয়টি গোপন রাখার শর্তে সবুজ সংকেত দেন। এই প্রেক্ষাপটে, হাসিনা ও পরিবারের বাকি সদস্যরা ১৮ আগস্ট কার্লসরুতে যান।
সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে শহীদ বলেন, কার্লসরুতে মাত্র কয়েকজন বাংলাদেশি ছিলেন। যারা ছিলেন তাদের একজন ওয়াজেদ মিয়ার সহকর্মী আমিরুল ইসলাম বাবলু। তিনি ওয়াজেদ মিয়ার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন। ওয়াজেদের অন্য ২ সহকর্মী যারা শহরে ছিলেন তারা খোঁজ নিতেন না।
'সে সময় হাসিনা আপা আমাকে একবার বলেছিলেন যে মার্শাল টিটো আমাদের ভালো বন্ধু এবং আমাদের সেখানে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, আমরা সেখানে যাব না,' বলেন শহীদ।
২২ আগস্ট হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী বন থেকে ওয়াজেদ মিয়াকে ফোন করেন এবং ভারতীয় দূতাবাসের কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি না জানতে চান। পরদিন ভারতীয় দূতাবাসের এক কর্মকর্তা ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং জানান ২৪ আগস্ট সকালে তাদের ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে।
সকালে তারা বিমানবন্দরে পৌঁছে ভারতের উদ্দেশ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে উঠেন।
শেখ হাসিনা ও অন্যদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে যাওয়া শহীদ বলেন, 'আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি যে তারা ভারতে যাচ্ছেন। তবে আমি ভারতীয় কর্মকর্তাদের দেখে তা অনুমান করি। তাদের গন্তব্য গোপন রাখা হয়েছিল এবং সে কারণেই কেউ আমাকে সেটা বলেননি।'
সরাফ তার বইয়ে লিখেছেন, ২৫ আগস্ট সকালে তারা দিল্লিতে পৌঁছান। প্রথমেই তাদের 'সেফ হাউজ'-এ নেওয়া হয়। পরে তারা ডিফেন্স কলোনির বাড়িতে উঠেন।
দিল্লির বাড়ি থেকে তাদের বাইরে না যেতে, কারো কাছে পরিচয় প্রকাশ না করতে এবং দিল্লিতে কারো সঙ্গে যোগাযোগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ওয়েজেদ মিয়া তার বইতে লিখেছেন, ২ সপ্তাহ পর তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে দেখা করতে যান।
ইন্দিরা গান্ধী ওয়াজেদ মিয়াকে জিজ্ঞাসা করেন যে তারা ১৫ আগস্টের সব ঘটনা পুরোপুরি জানেন কি না। জবাবে তিনি এই বিষয়ে হুমায়ূন রশীদের কাছ থেকে যা শুনেছেন তা বলেন।
ইন্দিরা গান্ধী তখন সেখানে উপস্থিত এক কর্মকর্তাকে ১৫ আগস্টের ঘটনা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য দিতে বলেন। ওই কর্মকর্তা তখন তাদের জানান যে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ বেঁচে নেই।
এ খবর শুনে শেখ হাসিনা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ইন্দিরা গান্ধী তখন হাসিনাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
'তুমি যা হারিয়েছ তা আর কোনোভাবেই পূরণ করা যাবে না। তোমার শিশু ছেলে ও মেয়ে আছে। এখন থেকে তোমার ছেলেকেই তোমার আব্বা এবং মেয়েকে তোমার মা হিসেবে ভাবতে হবে। এছাড়া, তোমার ছোট বোন ও তোমার স্বামী আছেন তোমার সঙ্গে। এখন তোমার ছেলে-মেয়ে ও বোনকে মানুষ করার ভার তোমাকেই নিতে হবে। অতএব এখন তোমার কোনো অবস্থাতেই ভেঙে পড়লে চলবে না,' হাসিনাকে বলেন ইন্দিরা গান্ধী।
কয়েকদিন পর হাসিনা ও অন্যদের দিল্লিতে আরেকটি বাড়িতে নেওয়া হয়। শেখ রেহানা পরের বছর লন্ডনে চলে যান।
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের মে মাসে বাংলাদেশে ফিরে আসেন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর। পরে তিনি স্বৈরাচার এইচ এম এরশাদকে উৎখাতের আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৯১ সালে তিনি সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হন। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে আসে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
Comments