সিলেটে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ৩ জনের মৃত্যুকে ‘দুর্ঘটনা’ বলছে পুলিশ

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে আবদ্ধ কক্ষের ভেতর থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধারের পর ৩ প্রবাসীর মৃত্যুর ঘটনাকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছে পুলিশ।
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে আবদ্ধ কক্ষের ভেতর থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধারের পর ৩ প্রবাসীর মৃত্যুর ঘটনাকে 'দুর্ঘটনা' বলে অভিহিত করেছে পুলিশ।

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সিলেট জেলা পুলিশে তার শেষ কর্মদিবসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তবে মরদেহের ফরেনসিক প্রতিবেদন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে আসলেও, এ ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর না করায় মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে উল্লেখ করেননি তিনি।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, 'প্রাথমিক অনুসন্ধান, কক্ষে পাওয়া বিভিন্ন আলামত পর্যবেক্ষণ করে বিষক্রিয়ার কিছু পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্ত বলছে এটি একটি দুর্ঘটনা। তারা ঘরের ভেতর জেনারেটর চালিয়েছেন, যার ধোঁয়া কোনোভাবে ওই কক্ষে প্রবেশ করেছিল।'

তিনি আরও বলেন, 'ওই পরিবারের সঙ্গে সমাজে, বাড়িতে জায়গা–সম্পত্তি কিংবা অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। পরিবারটি নিছক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এখন আমরা ওসমানী হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। মেডিকেল বোর্ড কয়েক দিনের মধ্যে যে সিদ্ধান্ত জানাবে, সেটিই চূড়ান্ত হবে।'

গত ২৬ জুলাই ওসমানীনগরের তাজপুর বাজারের একটি বাসার কক্ষের দরজা ভেঙে একই পরিবারের ৫ সদস্যের অজ্ঞান দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের কার্ডিফের স্থায়ী বাসিন্দা এই পরিবারের সদস্যরা হলেন, রফিকুল ইসলাম (৫০), তার স্ত্রী হোসনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুর রহমান (২৫), মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০) ও ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬)।

উদ্ধারের পর তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপর ৬ আগস্ট ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামিরা ইসলাম।

Comments