রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের আশ্বাস ব্লিঙ্কেনের

শিখ নেতা হত্যা
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। রয়টার্স ফাইল ছবি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনে তাদের সরকার কাজ করছে। 

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা নেওয়া হবে যেন তারা সেখানে নতুন করে তাদের জীবন শুরু করতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলাকে সমর্থনের পাশাপাশি আদালতে মিয়ানমারের পরিস্থিতি উপস্থাপন করতে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেফারেলকে সহযোগিতা করবে।'

বিবৃতিতে তিনি রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের সব নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, যেন সে দেশের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নাগরিকরা বিশ্বের যে কোনো আদালতে পেতে পারেন। 

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চলতি বছরের মার্চে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে 'গণহত্যা' হিসেবে ঘোষণা দেন। 

তিনি বলেন, 'সম্প্রতি মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী এবং বিরোধী নেতাদের মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত দেশটিতে জনগণের জীবনের প্রতি সেনাবাহিনীর ঘৃণ্য অবহেলার সর্বশেষ উদাহরণ।'

'তাদের সহিংসতার পরিমাণ বৃদ্ধি মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে,' বলেন তিনি।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে। 

রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, 'রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের জনগণের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments

Fast fashion, fat margins: How retailers cash in on low-cost RMG

Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments, buying at $3 and selling for three to four times more. Yet, they continue to pressure factories to cut prices further.

12h ago