ত্রিপুরা-ম্রোদের বিরুদ্ধে লামা রাবার কোম্পানির মামলা প্রত্যাহারের দাবি
বান্দরবানের লামা সরই ইউনিয়নের রংধজন ত্রিপুরাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিক সমাজ।
মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং খাগড়াছড়ির মহালছড়ির জয়সেন পাড়ায় ভূমি দখলের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে লামা ভূমিরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রংধজন ত্রিপুরা বলেন, 'লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আমাদের ৪০০ একর জুম ভূমি দখলের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মার্মা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সব জমির ইজারা বাতিলের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সুপারিশ করেছেন। পরে গত ১১ জুলাই সন্ত্রাসীরা অশোক বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও লুটপাট চালায় এবং ১৩ জুলাই আমার ওপর হামলা চালায়।'
'পরে ১৪ আগস্ট তারা আমিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা করে। ১৬ আগস্ট সালিশের নামে আমাদের ডেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়। সেখানে বিচারকরা ভূমিদস্যু মোয়াজ্জেম হোসেন এবং কামাল উদ্দিনদের পক্ষ নিয়ে আমাদের নিজ ভূমি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বলেন,' বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'ভূমিদস্যু এবং মদদদাতারা সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের ন্যায্য আন্দোলনকে দমন করতে ভূমি বেদখল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করেছে।'
'আমরা আজকের এই সমাবেশ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে আমাদের পিতৃভূমিকে ফিরিয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য,' বলেন রংধজন ত্রিপুরা।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ভুলন ভৌমিক বলেন, 'হাজার বছরের আবাদকৃত পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমির অধিকার কেড়ে নিয়েছে লুটেরা ব্যবসায়ী কোম্পানিগুলো।
পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ সরকার ন্যাক্কারজনকভাবে জুলুমী শাসন কায়েম করে যাচ্ছে।'
তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ী কোম্পানিগুলো এবং তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার আহ্বান জানান।
পিসিপি নগর সাধারণ সম্পাদক অমিত চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্ক্সবাদী) চট্টগ্রাম নগরের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শফিউদ্দিন কবির আবিদ, নারী মুক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি আসমা আক্তার, বাংলাদেশ ত্রিপুরা শ্রমিক সংসদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মোহন ত্রিপুরা প্রমুখ।
Comments