ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের অংশগ্রহণে হাডুডু

মানিকগঞ্জে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হাডুডু প্রতিযোগিতা। মানিকগঞ্জ পৌরসভার উড়িয়াজানি গ্রামে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয় উড়িয়াজানি নিবেদিত ক্লাব।
হাডুডু
খেলা দেখতে ভিড় করেছিলেন আশেপাশের ৭ গ্রামের অধিবাসীরা। ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার

মানিকগঞ্জে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হাডুডু প্রতিযোগিতা। মানিকগঞ্জ পৌরসভার উড়িয়াজানি গ্রামে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয় উড়িয়াজানি নিবেদিত ক্লাব।

খেলা দেখতে ভিড় করেছিলেন আশেপাশের ৭ গ্রামের অধিবাসীরা। খেলায় অংশগ্রহণকারীদের নাতি-নাতনীসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দঘন পরিবেশে খেলার মাঠে সময় কাটিয়েছেন।

এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সেখানে বসেছিল গ্রামীণ মেলা।

স্থানীয় অধিবাসী দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'প্রতি বছরই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, কিন্তু করোনার কারণে গত ২ বছর সম্ভব হয়নি। আগামীতে নিয়মিত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন হবে বলে আশা করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'এবার আমার চাচা খেলেছেন। চাচী, চাচাতো ভাই ও তাদের সন্তানসহ সবাই মিলে খেলা উপভোগ করেছি।'

প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'মানিকগঞ্জ পৌরসভার কেওয়ারজানি, কুশেরচর ও উড়িয়াজানি এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী সদর উপজেলার বার্থা, বেংরই, বালিয়াবিল ও ঘোস্তা— এই ৭ গ্রামের প্রতি গ্রাম থেকে ২ জন করে মোট ১৪ জন খেলোয়াড় নিয়ে দুটি দল গঠন করা হয়। একটি দল দেলোয়ার হোসেনের এবং অন্যটি আতোয়ার রহমানের। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় আতোয়ার রহমানের দল জিতেছে। বিজয়ী দলের সবাইকে একটি করে ফিচার ফোন সেট দেওয়া হয়েছে। বিজিত দেলোয়ার হোসেনের দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দেওয়া হয় একটি করে ছাতা।'

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উভয় দলের খেলোয়াড়দের হাতে এসব পুরস্কার তুলে দেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী।

হাডুডু বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হলেও এর প্রচলন দিন দিন কমে যাচ্ছে। খেলাটিকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র।

Comments