ডিভাইডারে ধাক্কা, চসিককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দিল পিকনিকের বাস

শরীয়তপুর থেকে ৩২ জন যাত্রী নিয়ে পিকনিকের উদ্দেশে কক্সবাজার যাচ্ছিল শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের একটি বাস। 

শরীয়তপুর থেকে ৩২ জন যাত্রী নিয়ে পিকনিকের উদ্দেশে কক্সবাজার যাচ্ছিল শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের একটি বাস। 

পথিমধ্যে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকার সামনে বাসের চাকা ফেটে গিয়ে বাসটি রাস্তার ডিভাইডার এবং ল্যাম্পপোস্ট এ গিয়ে আঘাত করলে বাসটির দুটি ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে যায়।

পরে ল্যাম্পপোস্টের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেড়লাখ টাকা দাবি করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। তবে এ ঘটনায় দিনভর বাকলিয়া থানায় যুক্তিতর্কের পর মামলার ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার ভোর ৫টার দিকে ঘটনা ঘটলেও রাত ১১ টার দিকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায়ের পর বাকলিয়া থানা থেকে বাস ও যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যাত্রীদের অভিযোগ এক প্রকার জিম্মি করে ও মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের সহায়তায় ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করেছে চসিক।

পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩২ জন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বাসটি কক্সবাজার যাচ্ছিল বাসটি। চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর আগে বাসটি কল্পলোক আবাসিক এলাকার সামনের রাস্তায় চাকা ফেটে গিয়ে ল্যাম্পপোস্ট ও ডিভাইডারে আঘাত করে। পরে পুলিশের একটি টহল টিম যাত্রীদের এবং বাসটিকে বাকলিয়া থানায় নিয়ে যায়।

বাসের যাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ নেতা শাকিল চৌকিদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চাকা ফেটে দুর্ঘটনা হলেও এক প্রকার জিম্মি করে আমাদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। শুরুতে আমাদের কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ দেড়লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে আমরা নিজেরা টাকা তুলে জমা দেই।'

'বাসটি আমাদের এলাকার এবং পরিচিত। পুলিশ বাসটি জিম্মায় নিয়ে আমাদের চলে যেতে বলছিল কিন্তু আমরা যাইনি। গাড়ির কাগজ সব ঠিক আছে। দুর্ঘটনায় পতিত হলেও উল্টো আমাদের জরিমানা করে এই টাকা নেওয়াটা সত্যিই দু:খজনক', বলেন তিনি।

'পুলিশের উপস্থিতিতেই আমরা চসিকের রুপক চন্দ্র দাশের কাছে আমরা টাকা হস্তান্তর করি,' যোগ করেন তিনি।

 

জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাসটিকে থানায় আনার পর আমরা যাত্রীদের অন্য গাড়ি ঠিক করে কক্সবাজার চলে যেতে বলি। কিন্তু উনারা এই দুর্ঘটনাকবলিত বাস নিয়েই কক্সবাজার যেতে চান। যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি চসিকের অধীনে তাই চসিক ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেড় লাখ টাকা দাবি করে বাসটির কাছে।'

'ঘটনার পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। চসিকের উপ সহকারী প্রকৌশলী রুপক চন্দ্র দাশ থানায় বাসটির বিষয়ে একটি জিডি করেন। পরে বাসের যাত্রী এবং বাসের মালিকপক্ষ ৮০ হাজার টাকায় বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করা হয়,' বলেন তিনি।

 

 

Comments