ডেইলি স্টারে সংবাদ প্রকাশের পর ক্যানসারে আক্রান্ত আলিফের পাশে স্বাস্থ্য বিভাগ
দ্য ডেইলি স্টারে সংবাদ প্রচারের পর বোন ক্যানসারে আক্রান্ত মানিকগঞ্জের শিশু আলিফের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বনপাড়িল গ্রামে শিশু আলিফের বাড়িতে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান ও স্থানীয় বংখুরী স্বাস্থ্য-উপকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. চৌধুরী আফসানা হায়দারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা।
ডা. লুৎফর রহমান ও ডা. চৌধুরী আফসানা হায়দার শিশু আলিফের যাবতীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজপত্র দেখেন এবং তার চিকিৎসার যাবতীয় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
ডা. লুৎফর রহমান বলেন, 'আমি তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার যাবতীয় কাগজপত্র দেখেছি। সে বোন ক্যানসারে আক্রান্ত। তাকে ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি আনুষঙ্গিক চিকিৎসা দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে মানিকগঞ্জের কর্নেল মেডিকেল কলেজে ভর্তি, ওষুধপত্রসহ যাবতীয় চিকিৎসায় সহযোগিতা দেওয়া হবে। এছাড়া, ঢাকায় যাতে খুব সহজে ক্যানসারের চিকিৎসা পায়, সে বিষয়েও সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।'
নতুন পালোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বলেন, 'আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করে সব শিক্ষকের নিকট থেকে সহযোগিতা নিয়ে আমরা উপজেলা শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকেও শিশু আলিফের চিকিৎসায় আর্থিক যোগান দেবো।'
উল্লেখ্য, ৫ মাস আগে, বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চের সঙ্গে ১১ বছরের শিশু আলিফের বাম পায়ে সামান্য চোট লাগে। এর ৪ থেকে ৫ দিন পর তার পা ফুলে যায় এবং ব্যথা অনুভব হয়। স্থানীয় দোকান থেকে ওষুধ খেয়েও কোনো প্রতিকার না হওয়ায় তাকে স্থানীয় চিকিৎসক, মানিকগঞ্জ জেলা শহর থেকে শুরু করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পর অস্ত্রোপচারে ধরা পড়ে তার বোন ক্যান্সার। এরই মধ্যে তার চিকিৎসায় শেষ হয়ে যায় পরিবারের সঞ্চিত অর্থ। থেমে যায় চিকিৎসা। শিশু আলিফকে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারে 'আবার স্কুলে যেতে চায় আলিফ' শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।
Comments