সীমান্ত উত্তেজনা: আরাকান আর্মি ও আরসাকে দায়ী করল মিয়ানমার

বাংলাদেশে মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণের জন্য আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করেছে মিয়ানমার।
বাংলাদেশে এসে পড়া মর্টারশেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণের জন্য আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করেছে মিয়ানমার।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ও ট্রেনিং বিভাগের মহাপরিচালক ইউ জাও ফিও উইন গতকাল সোমবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীকে তার কার্যালয়ে ডেকে বিষয়টি জানান। 

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রদূতকে উইন বলেন, 'আরাকান আর্মি ও আরসা গত ১৬ সেপ্টেম্বর টংপিওতে (বাম) বর্ডার গার্ড পুলিশ ফাঁড়িতে মর্টার আক্রমণ করে এবং ৩টি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে গিয়ে পড়ে।'

তিনি জানান, এই দলগুলো আবারও একই অস্ত্র ব্যবহার করে ১৬ সেপ্টেম্বর টংপিও (ডান) বর্ডার গার্ড পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় এবং ৯টি শেল বাংলাদেশে এসে পড়ে।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে আরাকান আর্মি ও আরসা 'ইচ্ছাকৃতভাবে' এসব হামলা চালাচ্ছে বলে জোর দেন ইউ জাও ফিও উইন।

তিনি বলেন, 'মিয়ানমার সর্বদা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও আন্তর্জাতিক নীতি মেনে চলে এবং বাংলাদেশসহ সব জাতির অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।'

সীমান্ত এলাকার শান্তি বজায় রাখতে মিয়ানমার বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

মিয়ানমারের এই কূটনীতিক আরও জানান, বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ঘাঁটির তথ্য গত ৭ সেপ্টেম্বর কূটনৈতিক প্রক্রিয়া বাংলাদেশকে জানানো হয়েছিল এবং তদন্ত করে সেগুলো ধ্বংস করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান করা হয়েছিল। গতকাল তিনি বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এদিকে, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব অ্যাডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম আজ বলেছেন, কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, 'কারণ যাই হোক না কেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মর্টার শেল ও গোলাবর্ষণ গ্রহণযোগ্য নয়।'

আজ মঙ্গলবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, 'মিয়ানমারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের সীমান্তের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

The government last night gave magistracy power to commissioned army officers with immediate effect for 60 days in order to improve law and order.

4h ago