সিলেটে মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে গাড়ি থামিয়ে সড়ক অবরোধ শ্রমিকদের

পরিবহন নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলার ৮ দিন পর কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিলেট নগরীর মোড়গুলোতে অবরোধ তৈরি করে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
সিলেট নগরীর বালুচর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: দ্বোহা চৌধুরী/স্টার

পরিবহন নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলার ৮ দিন পর কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিলেট নগরীর মোড়গুলোতে অবরোধ তৈরি করে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে নগরীর সবকয়টি পয়েন্টে রাস্তার ওপর গাড়ি থামিয়ে অবরোধ শুরু করেন শ্রমিকরা। কোথাও কোথাও টায়ার পুড়িয়েও প্রতিবাদ জানান শ্রমিকরা।

সরেজমিনে নগরীর আম্বরখানা, শাহী ঈদগাহ ও বালুচর এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, শ্রমিকদের অবরোধে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

এর আগে ৫ দফা দাবিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলেট জেলায় 'কর্মবিরতি' শুরু করেন সিলেটের পরিবহন শ্রমিকরা। 

সেদিনের ভোগান্তির পর রাতে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেন।

এর পরদিন পরিবহন নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন এক পরিবহন শ্রমিক। মামলায় ৬ জন পরিবহন নেতার নাম উল্লেখ করা হয়।

সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আজকেই মামলার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তারপর কয়েকজন শ্রমিক পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।'

মইনুলের দাবি, মামলাকারীকে আগেই শ্রমিক সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এ কারণে ওই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছেন।

পুলিশ শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে চাপে রাখতে মামলাটি গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'মামলার ও দুর্ব্যবহারের কথা জানার পর শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। পুলিশ কমিশনারের অপসারণ ও মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।'

মামলার বিষয়ে জানতে সিলেটের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফকে ফোন করা হলে, তারাও ফোনের লাইন কেটে দেন।

Comments