তুমব্রু সীমান্তে আবারও মিয়ানমারের ‘হেলিকপ্টার’ থেকে গুলিবর্ষণ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ভাজাবনিয়ায় গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশে উড়ে গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় তীব্র আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছেন স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ভাজাবনিয়ায় গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশে উড়ে গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের পর গত এক সপ্তাহ ধরে এখানকার পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত ছিল। তবে গতকাল রাতে আবারও আচমকা মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার পর জনসাধারণের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।'

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুনেছি গতকাল রাতে নাকি আবারও মিয়ানমারের হেলিকপ্টার আমাদের সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করেছে। আমাদের সীমান্তে বিজিবি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহল ও সতর্ক অবস্থায় আছে। জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।'

এ ঘটনায় বিজিবি কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হাসান কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের কোনো হেলিকপ্টার বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশের তথ্য পাইনি। হেলিকপ্টার মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই ছিল, তবে আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি এসেছিল।'

'সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তায় ব্যাটালিয়ন ও সেনা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৭ সালের মতো আবারও যাতে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করতে না পারেন, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। সীমান্তে আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।

এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মুহুর্মুহু গুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

 

Comments