সিলেটের আকর্ষণ কুলাউড়ায় ২৩ ফুট সহস্রভুজা দুর্গা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে শিববাড়ির ২৩ ফুটের সহস্রভুজা দুর্গা প্রতিমা সিলেট বিভাগে এবারের শারদীয় উৎসবের মূল আকর্ষণ। তাই সেখানে নেমেছে পুণ্যার্থীদের ঢল।
শিববাড়ির ভেতরে কারুকাজসমৃদ্ধ ৩ মন্দিরের একটির দোতলায় এবার তৈরি করা হয়েছে সিমেন্টে সহস্রভুজা দুর্গা প্রতিমা।
সংশ্লিষ্টরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, শিববাড়িতে পারিবারিকভাবে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন প্রায় ১০০ বছর ধরে চলে আসছে। তবে এবার থেকে প্রতিবছর পূজিত হবেন সহস্রভুজা দুর্গা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিববাড়ির প্রবেশমুখে সুদৃশ্য তোরণ। সামনে শান–বাঁধানো ঘাটের বড় পুকুর। বাড়ির ভেতরে পাশাপাশি ৩ মন্দির। 'আনন্দ সেবাধাম' মন্দিরের দোতলায় দুর্গা প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে।
সিমেন্টের তৈরি এই প্রতিমার উচ্চতা ২৩ ফুট। প্রতিমার সহস্র হাত। রঙ-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেবীর সৌন্দর্য।
পূজার দেখভালে থাকা শিববাড়ির বাসিন্দা পুলক সোম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রখ্যাত বেতার সম্প্রচারক বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র চণ্ডী পাঠের সময় দেবী দুর্গাকে কখনো ১০ ভুজা, কখনো ১৮ ভুজা আবার কখনো সহস্রভুজা উল্লেখ করেছেন। মহিষাসুর বধের সময় দেবী যে বিশ্বরূপ দেখিয়েছিলেন, তাতেও তিনি সহস্রভুজা ছিলেন। তাই সহস্রভুজা দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। এবার থেকে নিয়মিত এই প্রতিমার পূজা হবে।'
'এ প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হবে না,' যোগ করেন তিনি।
পুলক জানান, প্রায় ১০০ বছর ধরে এ বাড়িতে শারদীয় দুর্গোৎসব হচ্ছে। তাদের দাদা এই উৎসবের প্রচলন করেন। ভক্তদের সহযোগিতায় মন্দিরের উন্নয়নকাজ হয়েছে।
'নরসিংদীর কারিগর সহস্রভুজা দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এতে সময় লেগেছে প্রায় ৪ মাস।'
খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, 'মা আনন্দময়ীই (দেবী দুর্গা) সব কুলিয়েছেন।'
সিলেটের জাফলং থেকে সপরিবারে এসেছেন রিপন দাস। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিলেট বিভাগে ২৩ ফুটের সহস্রভুজা দুর্গা প্রতিমা এবারের মূল আকর্ষণ। তাই শিববাড়িতে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। আমরাও এসেছি মাকে দেখতে। প্রায় ২ কিলোমিটার যানজট পার হয়ে হেঁটে এসেছি।'
কুলাউড়া থানার ওসি মো. আবদুছ ছালেক বলেন, 'শিববাড়িতে ভক্তদের সমাগম খুব বেশি হয়। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ২০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।'
Comments