করতোয়ায় নৌকাডুবি: সেই ঘাটে নির্মিত হবে সেতু

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাটে করতোয়া নদীর যে ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল সেখানে সেতু নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি প্রতিনিধি দল সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছে।    
শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি প্রতিনিধি দল সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করে। ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাটে করতোয়া নদীর যে ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল সেখানে সেতু নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি প্রতিনিধি দল সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছে।    

আজ শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সেতু ডিজাইন) মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের ওই ঘাট এলাকা পরিদর্শন করে এবং সেতুর খসড়া লেআউট যাচাই করে বলে জানিয়েছেন এলজিইডি পঞ্চগড় কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুজ্জামান।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুজ্জামান বলেন, 'পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় জেলার বোদা-ভাউলাগঞ্জ জিসি সড়কের আউলিয়ার ঘাটে প্রায় এক হাজার ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের ওয়াই আকৃতির সেতু নির্মাণের প্রস্তাব ইতোমধ্যে একনেকে পাশ হয়েছে। যার ডিজাইনও চূড়ান্ত হয়েছে।'

এদিকে, জেলার বোদা, দেবীগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী আউলিয়ার ঘাটে একটি সেতু নির্মাণ। এই সেতু নির্মাণে প্রকৌশলী দলের সরেজমিনে সেতুর নকশা সংক্রান্ত কাজ পর্যবেক্ষণ করে এলাকার মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।

মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম শামীম বলেন, 'এই নদীটি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট বড়শশী ও কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নকে বিচ্ছিন্ন করেছে। সেতুটি নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সেতুটি নির্মিত হলে বোদা ও দেবীগঞ্জের মানুষের যাতায়াত সহজ হবে, পরিত্রাণ পাবে সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে। সেতুর অভাবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যসহ বিভিন্ন সামগ্রী পরিবহণে যানবাহনগুলোকে প্রায় ২০ থেকে ৫০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হয়।'

উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক মানুষ নিয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা ওপারে বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীদের অধিকাংশই বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ঘাট থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনো ৩ জন নিখোঁজ আছেন।

 

Comments