ঢাকার ৪ খাল পুনরুদ্ধারে ৮৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার ৪টি খাল পুনরুদ্ধারে প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার।
ঢাকার খালগুলো দূষণ ও দখলের কারণে রাজধানীতে জলবদ্ধতা তৈরি হয়। ছবি: স্টার

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার ৪টি খাল পুনরুদ্ধারে প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

খালগুলো হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে কালুনগর, জিরানী, মান্দা ও শ্যামপুর খাল। খালগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে কালুনগর খাল ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার, জিরানী খাল ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার, মান্দা খাল ৮ দশিমক ৭ কিলোমিটার এবং শ্যামপুর খাল ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।

প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, খালগুলো দখলদার ও দূষণ থেকে মুক্ত করা হবে।

এ ছাড়া, প্রকল্পের অংশ হিসেবে ৩৮ দশমিক শূন্য ৬ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর, ৩৬টি পথচারী সেতু, যানবাহন চলাচলের জন্য ১৯টি সেতু, ১০টি পাবলিক টয়লেট, ৩২ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার হাঁটার পথ, ৪টি প্লাজা, সাইকেল লেন ও ৭৭১টি লাইট স্থাপন করা হবে।

প্রকল্পটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছিল এবং ডিসেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এসব খাল দূষিত এবং এগুলোর ওপর ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

খালগুলো উদ্ধার করে পরিষ্কার করা হবে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। ডিএসসিসি মেয়রকে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।'

পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. মামুন আল রাশদী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে খালের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।'

ডিএসসিসির প্রকৌশলী ও প্রকল্প সমন্বয়কারী খায়রুল বাকের বলেন, 'প্রাথমিক সব কাজ শেষ হয়েছে এবং একনেক অনুমোদনের লিখিত নোটিশ পেলে কাজ শুরু হবে।'

তিনি জানান, তারা দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালগুলো পুনরুদ্ধার করবেন এবং পরিচ্ছন্নতা ও খনন কার্যক্রম চালাবেন।

জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা ওয়াসা থেকে ডিএসসিসি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬টি খাল এবং ১০ কিলোমিটার বক্স কালভার্টের দায়িত্ব গ্রহণ করে।

এর মধ্যে ১১টি খালের দায়িত্ব নিয়েছে ডিএসসিসি।

এর কয়েক মাস পরে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা খালগুলো পুনরুদ্ধারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অধীনে ৪টি খাল পুনরুদ্ধঅর করব। মান্দা, কালুনগর, জিরানী ও শ্যামপুর খাল শহরের নিষ্কাশন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।'

Comments