‘বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতেই শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল’

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতেই শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। সে বেঁচে থাকলে আজ হয়তো বঙ্গবন্ধুর মতোই বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতো, বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা হতো। তাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ববোধ করতো।
শেখ রাসেলের স্মৃতির স্মরণে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইটে শেখ রাসেল শিশু কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতেই শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। সে বেঁচে থাকলে আজ হয়তো বঙ্গবন্ধুর মতোই বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতো, বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা হতো। তাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ববোধ করতো।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতির স্মরণে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইটে শেখ রাসেল শিশু কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ মঙ্গলবার লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, 'শেখ রাসেল এক সাহসী প্রাণবন্ত সত্ত্বার নাম। মানবতার এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রতীক শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশু রাসেলকে তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ঘাতকরা। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত ঘটনা হলো এই হত্যাকাণ্ড, যা করতেও নির্মম ঘাতকরা কুণ্ঠিত হয়নি সেদিন।'

তিনি বলেন, 'শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তার স্মৃতি। এই স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গত বছর ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস ঘোষণা করেছে। এই দিবস বাংলাদেশের জনগণকে আদর্শ মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।'

অনুষ্ঠানে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী ও যুগ্মসচিব মো. মুনিরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  

Comments