ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর ওসিকে বদলি

ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা ও বাছাইয়ের কাজও শেষ। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আজ মঙ্গলবার। এ অবস্থায় পরিবর্তন করা হলো নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা ও বাছাইয়ের কাজও শেষ। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আজ মঙ্গলবার। এ অবস্থায় পরিবর্তন করা হলো নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)।

ফরিদপুর নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা এবং সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসন। এ আসনের সংসদ সদস্য সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয় তফসিল। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ১০ অক্টোবর।

এ অবস্থায় নগরকান্দা থানার ওসিকে বদলি করে সেখানে নতুন ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে। আজ থানার ওসি হিসেবে যোগ দিয়েছেন মিরাজ হোসেন। তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন আগের ওসি হাবিল হোসেন।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর ওই নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন আয়োজনের সঙ্গে ওসি, ইউএনওসহ যারা সরাসরি জড়িত তাদের বদলি করার সুযোগ নেই। কোনো বিশেষ কারণে পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুমতি নিতে হয়।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চলাকালে কেন নগরকান্দার ওসিকে বদলি করা হলো এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।'

'এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ কিংবা নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আমাকে অবগত করেনি', বলেন তিনি।

সদ্য যোগ দেওয়া ওসি মিরাজ হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, তার এই বদলির বিষয়টি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অনুমোদন করেছে।

তিনি বলেন, 'গত ৬ অক্টোবর পুলিশ সদরদপ্তর এ পরিবর্তন চেয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আবেদন জানায়। গত ১৩ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বদলির বিষয়টি অনুমোদন করে।'

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) এমদাদুল হক সাংবাদিকদের জানান, এ পরিবর্তন কোন প্রক্রিয়ায় হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় নিশ্চয়ই অনুমোদন করেছে এবং ফরিদপুরের পুলিশ সুপার অবগত আছেন।

ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ করার কথা। এ নির্বাচনী ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রয়াত সাজেদাপুত্র শাহদাব আকবর চৌধুরী ওরফে লাবু, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হোসেন মিয়া, জাতীয় পার্টির মো. আলমগীর হোসেন মিয়া ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জয়নুল আবেদীন ওরফে বকুল মিয়া।

নির্বাচনী কার্যক্রম চলাকালে নগরকান্দার ওসির বদলির বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হোসেন মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ নির্বাচনে কোনো এক বিশেষ প্রার্থী তার নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রভাব বিস্তার করে পুলিশের সদরদপ্তরের সুপারিশ অনুযায়ী এ বদলি করে থাকতে পারেন।'

Comments