লালমনিরহাট রেলস্টেশন ফুটওভার সেতু ঝুঁকিপূর্ণ

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে ৬ ফুট প্রস্থ ও ৪৬৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ফুটওভার সেতুটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। এটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় ২০০১ সালে। এখনো ঝুঁকি নিয়েই সেতু ব্যবহার করছেন রেলযাত্রী ও পথচারীরা।
লালমনিরহাট রেলস্টেশন
লালমনিরহাট রেলস্টেশনে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ফুটওভার সেতু। ছবি: স্টার

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে ৬ ফুট প্রস্থ ও ৪৬৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ফুটওভার সেতুটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। এটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় ২০০১ সালে। এখনো ঝুঁকি নিয়েই সেতু ব্যবহার করছেন রেলযাত্রী ও পথচারীরা।

ফুটওভার সেতুটি যেকোনো সময় ধসে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা স্থানীয়দের।

লালমনিরহাট রেলস্টেশন সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, ২০২০ সালে মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ফুটওভার সেতুটি অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ শুরু হয়।

রেলওয়ে সেতু বিভাগ ৪৭৬ ফুট দৈর্ঘ্যের মধ্যে ২১০ ফুট অংশ অপসারণ করে পুনর্নির্মাণ করে। খরচ হয় ৭৭ লাখ টাকা। বাকি ২৫৭ ফুট সেতু এখনো অপসারণ করে পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। প্রতিদিন সেতুটি কয়েক হাজার পথচারী ও ট্রেনযাত্রী ব্যবহার করছেন। 

ট্রেন যাত্রী আতিয়ার রহমান (৬০) ডেইলি স্টারকে বলেন. 'রেলওয়ে ফুটওভার সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর ওপর দিয়ে চলাচল করতে খুব ভয় লাগে। বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ফুটভার সেতুটি ব্যবহার করছি।'

স্থানীয় পথচারী মেহের আলী (৫৬) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফুটওভার সেতুতে উঠার জন্য সিঁড়ির পাটাতনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এতে উঠার সময় কষ্ট হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ফুটওভার সেতুর কিছু অংশ অপসারণ করে পুনর্নির্মাণ করলেও বেশিভাগ অংশ আগের অবস্থায় আছে।'

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি অপসারণ করে জরুরি ভিত্তিতে পুনর্নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

রেলওয়ে ব্রিজ ইন্সপেকশনের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (এসএই) আসলাম হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফুটওভার সেতুটির বাকি অংশ অপসারণ করে পুনর্নির্মাণে প্রস্তুতি রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে শিগগির ঠিকাদার নিয়োগ করে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।'

Comments