নিয়মবহির্ভূতভাবে পাবনা জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর গাছ কাটার অভিযোগ

গাছ কাটা হয়নি, আবর্জনা পরিস্কার করা হয়েছে দাবি কর্তৃপক্ষের
পাবনা জেলা পরিষদ
পাবনা জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে সম্প্রতি গাছ কাটা হয়। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে গাছ কাটা হয়নি, আবর্জনা পরিস্কার করা হয়েছে । ছবি: সংগৃহীত

পাবনা জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে নিয়মবহির্ভূতভাবে গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদ কর্মকর্তারা জানান, ডাকবাংলোর কোনো গাছ কাটা হয়নি। সেখানকার আবর্জনা পরিস্কার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে জেলা সদরের নূরপুরে অবস্থিত ডাকবাংলো পরিদর্শনে দেখা গেছে, ডাকবাংলোর কিছু স্থানে নতুন মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, গাছ কাটার পর সে স্থান মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে ফলে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে ডাক বাংলোর ভেতরে গাছ কাটা হয়েছে তবে কয়টি গাছ কাটা হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারেননি। জেলা পরিষদের বিভিন্ন বাংলোর আসবাবপত্র তৈরি করার জন্য গাছ কাটা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ডাকবাংলোর ভেতরে কোনো গাছ কাটা হয়নি। ডাকবাংলার ভেতরে বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তূপ জমা হওয়ায় সেগুলো পরিস্কার করা হয়েছে। এটিকে অনেকেই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে গাছ কাটার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

এদিকে ডাকবাংলোর ভেতরে গাছ কাটার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, পাবনা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জেলা পরিষদের ভেতরে গাছ কাটা হচ্ছে এমন অভিযোগ শুনে তিনি সেখানে যান। সরেজমিনে গাছ কাটা দেখতে না পেলেও সে সময় ডাক বাংলোর বিভিন্ন স্থানে আলগা মাটি দিয়ে ভরাট করা দেখে কেয়ারটেকার কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন।

অফিসের নির্দেশে তিনটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে এ সময় কেয়ারটেকার তাকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান।

তবে দায়িত্ব গ্রহণ না করায় এ ব্যাপারে তিনি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি বলে জানিয়ে বলেন, বিষয়টি তিনি নজরে রেখেছেন। কোনো রকম সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গাছ কাটা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাবনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপি বিকাশ চন্দ্র দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সরকারি দপ্তরের গাছ কাটার প্রয়োজন হলে, নিয়মমাফিক তা করতে হয়। বনবিভাগ গাছের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।

পাবনা জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। জেলা পরিষদ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাননি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago