‘মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের বাড়িতে আলাদা সুইমিং পুল থাকছে না’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিন্টো রোডের পুরোনো সব বাড়ি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বাড়িতে আলাদা কোনো সুইমিং পুল থাকবে না।

আজ সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল এ কথা বলেন।

ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বিলাসবহুল বাড়ি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটা মুখ্য সচিব বা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসভবনের বিষয়ে নয়। পুরোনো বাড়িগুলো ভেঙে নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে,।'

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'এই বাড়িগুলো ১৯৪০-৪৫ সালে নির্মিত হয়েছিল। যেহেতু মুখ্য সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাড়িতে অফিস আছে, তাই তাদের বাসস্থান নির্দিষ্ট করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।'

তবে এসব পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জানা গেছে, এই দুই সিনিয়র সচিবের বাসভবনের জন্য গণপূর্ত বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনায় দুটি ৩ তলা ভবন রাখা হয়েছে। এর আনুমানিক নির্মাণব্যয় ১৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এছাড়া ইন্টেরিয়র ও বাইরের নকশা এবং একটি সার্ভিস ভবনের জন্য আরও ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

তিন তলা ভবনের প্রতিটি হবে ১৮ হাজার বর্গফুটের এবং নির্মাণব্যয় ২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এছাড়া, দুটি ভবনেই আলাদা সুইমিং পুল থাকবে এবং এর জন্য আরও আনুমানিক ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় দুটি সুইমিং পুলের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'আলাদা সুইমিং পুল বাতিলের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

'বলা হয়েছে যে যদি সুইমিং পুল করতেই হয়, তাহলে সেখানকার কয়েকশ বাড়ির জন্য একটি কমন সুইমিং পুল করা যায় কিনা। কারণ সুইমিং পুল রক্ষণাবেক্ষণ খুবই কঠিন। সেখানে যে ৫০০-৬০০ কর্মকর্তা আছেন, তাদের সবার জন্য কমন কোনো সুইমিং পুল নির্মাণ করা যায় কি না, সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে,' বলেন তিনি।

সরকারের ব্যয় কমানোর নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'এখনই ভবন নির্মাণ করা হবে না। আরও ৩ থেকে ৫ বছর লাগবে।'

'এটা নিয়ে প্রায় ৩ বছর আগে আলোচনা হয়েছিল। কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য এ পরিকল্পনা করা হয়নি,' যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'ইস্কাটন গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারের ৬টি বড় ভবনও ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো ১৯৫০ সালের বাড়ি। সবগুলোই নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
wheat production decline in bangladesh

With acreage and output falling, is there any prospect for wheat in Bangladesh?

Falling wheat acreage raises questions about food security amid climate change

16h ago