বিএনপি নেতা কামাল হত্যার নেপথ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ: পুলিশ

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সিলেট জেলা বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালের নিহত হওয়ার নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ নয় বরং ব্যবসায়িক বিরোধ বলে ধারণা করছে পুলিশ।
কামাল
আ ফ ম কামাল। ছবি: সংগৃহীত

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সিলেট জেলা বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালের নিহত হওয়ার নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ নয় বরং ব্যবসায়িক বিরোধ বলে ধারণা করছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ১৫ অক্টোবর নগরীর আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে হাতাহাতির একটি ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আ ফ ম কামালসহ বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছিল।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ব্যবসায়িক বিরোধের জের দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি।'

পুলিশ জানায়, আ ফ ম কামাল ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত ১৫ অক্টোবর নগরীর আম্বরখানায় মান্নান সুপার মার্কেটে নগরীর বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আজিজুর রহমান সম্রাটের সঙ্গে তার বিরোধ হয়।

সেদিনের বিরোধের জেরে হাতাহাতির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেন আজিজুর রহমান সম্রাট। 

মামলায় আ ফ ম কামাল ছাড়াও সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাহেদ আহমদ চমন, বিএনপি সিলেট সদর উপজেলার ১ নং জালালাবাদ ইউনিয়নের সভাপতি জৈইন উদ্দিন ও বিএনপি নেতা মো. লাহিনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।

উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, 'হত্যার ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।'

সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা আ ফ ম কামাল সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক।

রোববার রাত ৯টার দিকে আ ফ ম কামাল নিজের প্রাইভেটকারে আম্বরখানা বড়বাজার গলিতে প্রবেশ করেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল গাড়ির গতিরোধ করে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীতে বিএনপি-ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করে।

Comments