অন্তরা-মিথুনের বিয়েতে দেনমোহর ১০১টি বই

দেনমোহর হিসেবে ১০১টি বই নিয়ে কবুল বলে ঘর বেঁধেছেন সুমাইয়া পারভীন অন্তরা নামের এক নারী। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ সাবেক শিক্ষার্থী।
অন্তরা-মিথুন দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত

দেনমোহর হিসেবে ১০১টি বই নিয়ে কবুল বলে ঘর বেঁধেছেন সুমাইয়া পারভীন অন্তরা নামের এক নারী। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ সাবেক শিক্ষার্থী।

অন্তরার বর ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল হোসেন মিথুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। তার বাড়িও চুয়াডাঙ্গায়।

গত ২৯ অক্টোবর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় এই দম্পতির।

অন্তরার ভাষ্য, বিয়ের অনেক আগেই দেনমোহর হিসেবে ১০১টি বই নেওয়ার ইচ্ছার কথা তিনি জানান মিথুনকে। মিথুন প্রথমে এতে অবাক হলেও তার ইচ্ছা পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন।

তবে শুরুতে অন্তরার পরিবার তার এমন ইচ্ছার ব্যাপারে আপত্তি জানালেও পরে তারা রাজি হন। একই ঘটনা ঘটে মিথুনের বাবার ক্ষেত্রেও।

এরপর অন্তরা মিথুনের পরিবারের হাতে তার পছন্দের ১০১টি বইয়ের তালিকা তুলে দেন।

এ ব্যাপারে মিথুন বলেন, 'অন্তরার পছন্দের বইগুলো খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট হয়েছে। তবে আমার পরিবারের লোকজন বিষয়টি বেশ উপভোগ করেছে। ২ মাস ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা বইগুলো কিনেছি।

এদিকে বিয়ে পড়াতে এসে কাজি প্রথমে দেনমোহরের বিষয়টি বুঝতে উঠতে পারেননি বলে জানান মিথুন। তিনি এতে মৃদু আপত্তিও তোলেন। এক পর্যায়ে বইয়ের দাম হিসাব করে সেই মূল্য দেনমোহরের জায়গায় বসানোর প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু এতে আপত্তি জানান অন্তরা। এ অবস্থায় কাজি রেজিস্ট্রি খাতায় দেনমোহর হিসেবে ১০১টি বইয়ের কথাই উল্লেখ করেন।

পুরো বিষয়টি নিয়ে অন্তরার ভাষ্য, 'বিয়ের সময় দেনমোহর নিয়ে অনেক দর কষাকষি হয়। এছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক উচ্চহারে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তার বেশিরভাগ অপরিশোধিতই থাকে।'

অন্তরা বলেন, 'এমন উচ্চ দেনমোহর নিয়ে কাউকে বেঁধে রেখে সংসার করা যায় না। যে ভালোবাসে সে এমনিতেই সঙ্গে থাকবে।'

Comments