নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

(সতর্কীকরণ: কারো কারো কাছে এই ভিডিওটি আপত্তিকর মনে হতে পারে। তবে, আমরা চাই দর্শক বিচক্ষণ হবেন। ভিডিও ক্লিপটি নিহতের পরিবার সরবরাহ করেছে। কিন্তু, দ্য ডেইলি স্টার স্বাধীনভাবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।)

র‌্যাবের এক শীর্ষ কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে র‌্যাব-১ এর সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' একজন নিহত হয়েছেন।

র‌্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন দাবি করেছেন, নিহত শাহীন মিয়া ওরফে সিটি শাহীনের (৩৫) বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা আছে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা দাবি করেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে চনপাড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাছে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালালে শাহীন গুলিবিদ্ধ হন।

মোমেন বলেন, 'র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহীন ও তার দল শটগান ও পিস্তল দিয়ে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারা আমাদের ইটপাটকেলও ছুঁড়ে মারছিল। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব পাল্টা গুলি চালালে শাহীন লুটিয়ে পড়ে এবং তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়।'

তিনি জানান, শাহীন ওই দলের গ্যাং লিডার ছিল।

মোমেন আরও দাবি করেন, তারা গুলিবিদ্ধ শাহীনকে দ্রুত রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তবে মুগদা হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামালউদ্দিন মীর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে শাহীনের মৃত্যু হয়।

ওসি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি তার ডকুমেন্টে হাসপাতালে ভর্তির সময় খুঁজে পাইনি। তবে, চিকিৎসক জানিয়েছেন, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে তাকে হাসপাতালে আনা হয় এবং দ্রুত তাকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছিল।'

চনপাড়া থেকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় আধা ঘণ্টার। ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, মুগদার চিকিৎসক শাহীনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছেন।

ঢামেক মর্গ সূত্র জানায়, মুগদা হাসপাতাল তার মৃত্যুর সময় বা র‌্যাব যখন আহত অবস্থায় সেখানে এনেছিল তখন তাকে কী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তার প্রমাণস্বরূপ কোনো কাগজপত্র পাঠায়নি।

র‌্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শাহীন একজন তালিকাভুক্ত অপরাধী এবং 'বন্দুকযুদ্ধে' ৪-৫ জন র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারের নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Myanmar solely responsible for creating favourable conditions for Rohingyas’ return: UN

11 Western countries stress lasting solution hinges on peace and stability in Myanmar

23m ago