মানববন্ধন থেকে বাউলদের ওপর হামলার বিচার দাবি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লাউবাড়িয়াতে বাউলদের সাধুসঙ্গে হামলা ও নির্বিচারে মারধরের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন বাউলসাধকরা। 
ছেঁউড়িয়ায় লালন একাডেমির সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাউলসাধকরা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লাউবাড়িয়াতে বাউলদের সাধুসঙ্গে হামলা ও নির্বিচারে মারধরের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন বাউলসাধকরা। 

সম্মিলিত লালন ভক্তবৃন্দ'র ব্যানারে আজ শনিবার দুপুর ১২টায় ছেঁউড়িয়ায় লালন একাডেমির সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানবন্ধনে বক্তব্য দেন লালন একাডেমির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তাইজাল আলী খান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন, বাউল সুফি সাজেদুল ইসলাম ডালিম, ফকির ফজল সাঁই, ফকির সফি সাঁই, ফকির মইনুদ্দিন সাঁই, প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাউলদের নিগৃহীত করার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই। কুষ্টিয়া বাউল সাধক লালনের পূণ্যভুমি। এটা বাউল দর্শনেরও পূণ্যভুমি। এখানে বাউলদের ওপর কোনো ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন একেবারেই চলতে দেওয়া যায় না।

বাউলদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনাটিকে 'নিষ্ঠুর ও বিবেকবর্জিত' কাজ হিসেবেও অভিহিত করেন বক্তারা। তারা আরও বলেন, হামলার দিন ফজল ফকিরের মতো একজন বয়োজ্যেষ্ঠ বাউলও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যার বয়স নব্বইয়ের কোঠায়। পিটিয়ে জখম করা হয়েছে ফকিরানীদেরও। এ সময় কয়েকটি ঘরবাড়িও ভাংচুর করা হয়।

এ অবস্থায় এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবি তোলা হয় মানববন্ধন থেকে।

গত শনিবার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লাউবাড়িয়া এলাকায় পলান ফকিরের বাড়ির একটি সাধুসঙ্গে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন নারী বাউলসহ ৮ জন।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার দৌলতপুর থানায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন পলান ফকির। তবে আসামিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, 'পুলিশ মামলা গ্রহণ করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।'

Comments