তিস্তার চরের মুদির দোকানটিও সেজেছে আর্জেন্টিনার রঙে

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল চৌরাহা গ্রামে মিঠুর চায়ের দোকান। ছবি: স্টার

এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিঠু ইসলাম বাবু (১৮) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল চৌরাহা গ্রামের বাসিন্দা। পড়াশোনার পাশাপাশি গত আড়াই বছর ধরে তিনি চরে একটি মুদির দোকান চালাচ্ছেন। চতুর্থ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় তিনি ফুটবল খেলায় আর্জেন্টিনার সমর্থক হন। 

প্রিয় আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করতে তার মুদির দোকানটি আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙিয়েছেন ৭ হাজার টাকা খরচ করে। তবে এখন তার দোকানে আর আসছেন না ব্রাজিলসহ অন্য দলের সমর্থকরা।

মিঠু ইসলাম বাবু দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার মুদির দোকানটি আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙিয়ে তোলার আগে তিনি প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করতেন। দোকানটি রঙ করার পর তার দোকানে গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টাকার পণ্য বিক্রি করতে পারছেন। 

তিনি  বলেন, 'এখন আমার দোকানে ব্রাজিল কিংবা অন্য দলের সমর্থকরা পণ্য ক্রয় করতে আসছেন না। শুধু আর্জেন্টিনার সমর্থকরাই দোকানে আসছেন।'

'দোকানে পণ্য বিক্রি কমেছে তাতে কোনো আপত্তি নেই। আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক ছিলাম, আছি এবং থাকব। যতদিন বেঁচে থাকব, আর্জেন্টিনা সমর্থন করে যাব। ফুটবল খেলায় আর্জেন্টিনাই আমার প্রিয় দল,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'আমি প্রতিদিন গড়ে ২৫ কাপ চা আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিজ খরচে খাওয়াচ্ছি। দৃঢ় বিশ্বাস, আমার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের ট্রফি অর্জন করবে।'

একই গ্রামের আর্জেন্টিনার সমর্থক আতাউর রহমান (৫০) ডেইলি স্টারকে বলেন, তাদের গ্রামে আর্জেন্টিনার সমর্থক বেশি। ব্রাজিল কিংবা অন্য দলের সমর্থকরা এখন মিঠুর দোকানে যাচ্ছেন না। কিন্তু আর্জেন্টিনার সমর্থকরা মিঠুর দোকানে বেশি পণ্য কিনছেন।'

'মিঠু আমাদের ফ্রিতে চা খাওয়াচ্ছেন,' তিনি বলেন।

এই গ্রামের ব্রাজিলের সমর্থক নুর ইসলাম (৪৪) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিঠু তার দোকানকে আর্জেন্টিনার রঙে রাঙিয়ে আমাদের মনে আঘাত দিয়েছেন। মিঠুন একটি দলকে সমর্থন করতে পারেন, তাই বলে তার দোকানকে এভাবে সাজাতে পারেন না।'

'আমরা এখন তার দোকানে যাই না। তবে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা শেষে আবারো মিঠুর দোকান থেকে পণ্য কিনব,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago