আলভারেজের গোলে জিতে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা

বিরতির আগে আর্জেন্টিনার একক দাপট থাকলেও বিরতির পর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে হলো জমজমাট লড়াই। তবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা যেমন লিড বাড়াতে পারল না, তেমনি চিলিও পারল না সমতা টানতে। প্রথমার্ধে হুলিয়ান আলভারেজের লক্ষ্যভেদে পাওয়া লিড ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল আলবিসেলেস্তেরা।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ১৫ ম্যাচে ১১ জয় ও ১ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৩৪। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে বাছাই শেষ করা নিশ্চিত করেছে ইতোমধ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপে ঠাঁই নেওয়া আর্জেন্টিনা। পরের তিনটি ম্যাচ হারলেও তাদের অবস্থানের কোনো হেরফের হবে না।
বাছাইয়ের সবশেষ ম্যাচে ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া একাদশে চারটি পরিবর্তন এনে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। চোট থেকে ফেরা তাদের নিয়মিত অধিনায়ক লিওনেল মেসির জায়গা হয় বেঞ্চে। ৬৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলমুখে দলটি ১০টি শট নিয়ে চারটি রাখে লক্ষ্যে। বিপরীতে, চিলির নেওয়া সাতটি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি।
১৬তম মিনিটে আলভারেজের চমৎকার ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। থিয়াগো আলমাদার রক্ষণচেরা পাসে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলরক্ষক ব্রায়ান কর্তেসের মাথার ওপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তার ত্রয়োদশ গোল। ৩৪তম মিনিটে জুলিয়ানো সিমিওনে করেন হতাশ। ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর উঁচু করে বাড়ানো বল বক্সের ভেতরে পেয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। নয় মিনিট পর আলমাদার বাম পায়ের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান কর্তেস।

৫৭তম মিনিটে নিকো পাজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। এর কিছুক্ষণ পর থেকে বেশ কয়েক মিনিট তীব্র আক্রমণ চালিয়ে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরে সমতায় ফিরতে মরিয়া চিলি। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি তাদের।
৬০তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লুকাস সেপেদার দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। চার মিনিট পর তার আরেকটি শট রোমেরোর মাথা ছুঁয়ে ক্রসবারে বাধা পায়। ৭৪তম মিনিটে ফাঁকায় থাকলেও ভলি লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন সেপেদা। ফলে স্বাগতিকরা হারায় দারুণ একটি সুযোগ।
চার মিনিট পর ফ্রি-কিক পায় সফরকারীরা। মেসির শট লক্ষ্যে থাকলেও বল লুফে নেন কর্তেস। ৮৩তম মিনিটে সিমিওনে করে বসেন অবিশ্বাস্য মিস। মেসির পাস পেয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে সামনে ফাঁকা জাল পেয়ে যান তিনি। কিন্তু বিস্ময় জাগিয়ে বল মারেন বাইরের দিকের জালে। ম্যাচের বাকি অংশে গোল হওয়ার সম্ভাবনা আর তেমন একটা জাগেনি।
চোট ও কার্ডের কারণে এই ম্যাচে বেশ কয়েকজন নিয়মিত ফুটবলারকে পাননি স্কালোনি। তাদের শূন্যস্থান পূরণে তরুণদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন কোচ। শুরু থেকে খেলেন আলমাদা, পাজ ও সিমিওনে। শেষদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেকের স্বাদ নেন ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো। কিছুটা শঙ্কা জাগলেও তাদের নিয়ে পূর্ণ পয়েন্টই আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা।
Comments