রাজশাহীতে সাংবাদিকে মারধর

মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন রাজশাহীর সাংবাদিককে। ছবি: স্টার

রাজশাহী শহরের একটি কোচিং সেন্টার ও আবাসিক হোটেলের কর্মীরা দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামানকে শহরের হোটেল এক্স-এর একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

হোটেলের অডিটোরিয়ামে জীবন বায়োলজি কোচিং সেন্টারের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের একটি ব্যাচ পার্টির ছবি তোলার সময় তাকে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে।

আনিসুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, মাসে ৩০ লাখ টাকা আয় করা এই কোচিং সেন্টার কর এড়াতে গোপনে ছাত্রীদের নিয়ে পার্টির আয়োজন করে। আমি যখন কিছু ছবি তুলি, তখন হোটেল এবং কোচিং সেন্টারের কর্মীরা আমাকে চ্যালেঞ্জ করে। পরিচয় দেওয়ার পরও মারধর করা হয়।' 

পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও আনিসুজ্জামানকে 'ভুয়া সাংবাদিক' তকমা দিয়ে লাঞ্ছিত করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তাদের মধ্যে একজন আমাকে লাথি মারলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। তারা আমাকে একটি রুমে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।'

পরে পুলিশ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে আনিসুজ্জামানকে উদ্ধার করেন এবং সাংবাদিকরা হোটেলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আনিসুজ্জামান জানান, সাংবাদিকরা রাজপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ হোটেল কর্তৃপক্ষের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং মামলা রেকর্ড করতে অস্বীকৃতি জানায়।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাংবাদিক আনিসকে পুলিশের সামনে থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মেরেছে। এ ঘটনায় আমরা মামলা করতে গেলে আমাকে ও আনিসকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয় পুলিশ।' 

পুলিশের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে সাংবাদিকরা থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমানের প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
 
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে বিএমডিএ কার্যালয়ে ২ সাংবাদিক লাঞ্ছিত হন।

Comments

The Daily Star  | English

In coffins, from faraway lands

Kazi Salauddin, a 44-year-old man from Cumilla, migrated to Saudi Arabia in October 2022, hoping to secure a bright future for his family. But barely a year later, Salauddin, the father of two daughters and a son, died suddenly.

6h ago