রৌমারীতে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

অভিযুক্ত শাখাওয়াত হোসেন সবুজ রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। 
ভুক্তভোগী দৈনিক সংবাদের রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি আনিছুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। 

ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান দৈনিক সংবাদের রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি। 

অভিযুক্ত শাখাওয়াত হোসেন সবুজ রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। 

মারধরের ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক আনিছুর রহমান। 

অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজার এলাকায় মারধরের ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক আনিছুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরে কর্তিমারী এলাকায় মাদক কারবার, খাস জমি দখল ও নদ-নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। এতে আওয়ামী লীগ নেতা সবুজ ও তার লোকজন আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন।'

'এছাড়া গত ৯ মার্চ পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার সেচপাম্প ঘরের মাটি খুঁড়ে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনি সাংবাদিককে দোষারোপ করেন,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'গতকাল তারাবি নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসি। তখন আমার ওপর তারা হামলা চালায়। আওয়ামী লীগ নেতা সবুজ ও তার দুই সহযোগী জাকির হোসেন ও নুরুন্নবী মিয়া কোনো কথা ছাড়াই আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন।'

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেনে সবুজ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ও আমার লোকজন সাংবাদিক আনিছুরকে আক্রমণ করিনি এবং তাকে কিলঘুষিও মারিনি। তিনি আমাদের সম্পর্কে এলাকায় আজেবাজে তথ্য ছড়াচ্ছিলেন। এজন্য তাকে রাস্তায় থামিয়ে জানতে চেয়েছিলাম।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি ও আমার লোকজন কেউ মাদক কারবার, খাস জমি দখল ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত নই।'

উদ্ধার অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার সেচপাম্প ঘরটি পরিত্যক্ত। সেখানে কে বা কারা বিদেশি পিস্তল রেখেছিল সেটা আমি জানি না।'

যোগাযোগ করা হলে রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা বলেন, 'সাংবাদিক আনিছুর রহমানের ওপর হামলাকারীরা চিহ্নিত। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে।' 

জানতে চাইলে রৌমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোসাহেদ খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবে।'


 

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago