রাবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আবদুল কাইয়ুম স্মরণসভা

শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আবদুল কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত

শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আবদুল কাইয়ুম স্মরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সভার আয়োজন করে মনোবিজ্ঞান বিভাগ। 

শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আবদুল কাইয়ুম এই বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ছিলেন। তার মেয়ে ও বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন।

১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর রাজশাহী শহরের ঘোড়ামারার বাসভবন থেকে মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ুমকে অপহরণ করে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। স্বাধীনতার পর বাবলা বন গণকবর থেকে আরও ১৬ জনের সঙ্গে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আবদুল কাইয়ুম স্মরণসভা। ছবি: সংগৃহীত

স্মরণসভায় বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা বলেন, 'ঘাতকরা কাইয়ুম ও তার মতো আরও অনেক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বিশ্ব ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচনা করেছে। অশুভ সেই শক্তি আজও সক্রিয়। যখনই তারা সুযোগ পায়, তারা হত্যা করে। কিন্তু শহীদদের স্মৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে, যেমন তারা স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন।'

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। তিনি বলেন, 'মীর আবদুল কাইয়ুম স্বাধীনতা ও শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। ৩২ বছর বয়সে তাকে হত্যা করা হয়েছিল এবং তার মৃত্যু আমাদের ভারাক্রান্ত করে। কিন্তু তার আত্মত্যাগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে সমৃদ্ধির জন্য অনুপ্রাণিত করবে।'

অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, 'স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো সক্রিয়। সময় এসেছে পাকিস্তানি হানাদারদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে তাদের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার। অন্যথায়, ১৯৭৫ সাল আবারও ফিরে আসবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা লুণ্ঠিত হবে।'

সভার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আব্দুল কাইয়ুমের জীবনীভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
BNP rally venue

BNP agrees to 10yr PM cap, objects to NCC

Party leaders said the decision was made to improve the BNP's image ahead of the next general election, as sticking to the previous stance was drawing criticisms.

8h ago