বাংলাদেশ

১৩ বছরে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেতন-ভাতা নিয়েছেন ওয়াসা এমডি তাকসিম

নিয়োগের পর থেকে গত ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খানকে বেতন ও আনুষঙ্গিক সুবিধা হিসেবে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
তাকসিম এ খান। ছবি: সংগৃহীত

নিয়োগের পর থেকে গত ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খানকে বেতন ও আনুষঙ্গিক সুবিধা হিসেবে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ব্যারিস্টার এম মাসুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন।

প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসা জানায়, ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার মধ্যে বাড়ি ভাড়া ও মেরামত, আয়কর এবং প্রাসঙ্গিক খরচ হিসেবে ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা পেয়েছেন ওয়াসার এমডি তাকসিম।

আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাইকোর্ট বেঞ্চ এখনো কোনো আদেশ দেন নি। প্রতিবেদনটি তারা রেকর্ডে রেখেছেন।'

এ বিষয়ে শুনানির জন্য হাইকোর্ট এখনো কোনো তারিখ নির্ধারণ করেননি বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী মাহসিব হোসেন বলেন, 'ঢাকা ওয়াসা সরকারের অধীনে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বিলের আয় থেকে সৃষ্ট নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়াসার এমডি এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়।'

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, গত ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন ৬০ দিনের মধ্যে তাকসিম এ খানকে দেওয়া মোট বেতন, বোনাস, ভ্রমণ ভাতা ও দৈনিক ভাতাসহ সমস্ত বিবরণ প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে।

তাকসিম এ খানের ঢাকা ওয়াসের এমডি ও সিইও পদ ধরে রাখা এবং মাসে বেতন হিসেবে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

গত ১১ অক্টোবর ১৩ বছরে ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খানের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হন তাকসিম আহমেদ খান। ওয়াসার সেবার গুণাগুণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও তাকে ষষ্ঠ মেয়াদে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

 

Comments