বরিশালে ভবন ভাঙা নিয়ে দ্বন্দ্বে ২ বিদ্যালয়

বি এম কলেজ রোডের বহুমুখী কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন গত সপ্তাহে ভাঙা শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে ভবন ভাঙা নিয়ে দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। দুই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই দাবি করছে যে ভবনটি তাদের। 

দ্বন্দ্ব নিরসনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো বহুমুখী কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১০৫ নং কলেজ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

স্থানীয়রা জানান, গত সপ্তাহ থেকে নগরীর বি এম কলেজ রোডের বহুমুখী কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন ভাঙা শুরু করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

তবে সেই ভবনের পাশেই ১০৫ নং কলেজ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভবনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক ফারজানা ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন। কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সেটি ব্যাবহার করছে। তারা আমাদের এ ভবনটি এখন ভেঙে ফেলছে। এ জমিটি আমাদের এবং ভবনটি যে আমাদের তার কাগজপত্রও আছে।'

প্রধান শিক্ষক ফাতিমা আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমি মাপার জন্য আবেদন করি। এরপর ইউএনও স্যার জমি মেপে একটা প্রতিবেদন দিয়েছেন। তাতে এ জমি আমরা পেয়েছি।'

'আমরা চাই যেহেতু এ জমি আমাদের, তাই আমাদের ভবন ফেরত দিতে হবে,' বলেন তিনি।

অপরদিকে পাল্টা অভিযোগ তুলে কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রতন বণিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত এক বছর আগে এ জমিটি মাপা হয়েছে। প্রাইমারি স্কুলের নামে রেকর্ড করা ৯ দশমিক ২ শতাংশ জমি তাদের বুঝিয়ে দেওয়াসহ সীমানা পিলার বসানো হয়েছে। এতে ম্যানেজিং কমিটি, প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষকের সইও আছে।'

'বর্তমান নিয়ম হচ্ছে ভবন যার জমিও তার। আর এটা প্রাইমারির জমি না, এটা পৈত্রিক জমি। আমরা ক্রয় করেছি। এ জমির জন্য আমরা সব ধরনের ট্যাক্স ও খাজনা দিয়ে আসছি। জমি আমাদেরই। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে ভবনটি ভাঙা হচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, ভবনটি ভেঙে একটি ৬ তলা ভবন তৈরি করা হবে।

এই শিক্ষক আরও বলেন, 'প্রাথমিকের প্রয়োজন হলে তারা আমাদের ভবনের কক্ষ ব্যবহার করতে পারবে। এটি আগেও মিটিংয়ে জানানো হয়েছে। তারা রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু এখন উল্টো কথা বলছেন।'

জানতে চাইলে বরিশাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফয়সাল জামিল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাইমারি স্কুলের পুরাতন ভবনটি কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভেঙে ফেলছে। আমাকে প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক সব কাগজপত্র দেখিয়েছেন। সেগুলো সব সঠিক। আগের ইউএনও স্যার একটা রিপোর্টে লিখেছিলেন যে ভবনটি প্রাথমিকের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago