বিক্ষোভের মুখে উদ্বোধন না করে মাঠ ছাড়লেন মেয়র তাপস

রাজধানীর বকশিবাজার এলাকায় একটি মাঠের নতুন নামফলক উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস। তবে গাড়ি থেকে নামার ৫ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে উদ্বোধন না করেই এলাকা ছেড়েছেন তিনি।
মেয়র তাপস মাঠের নামফলক উদ্বোধন করতে এলে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বকশিবাজার এলাকায় একটি মাঠের নতুন নামফলক উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস। তবে গাড়ি থেকে নামার ৫ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে উদ্বোধন না করেই এলাকা ছেড়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়র তাপস মাঠের নামফলক উদ্বোধন করতে এলে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা মাঠের গেইট ভাঙচুর শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের সহায়তা নিয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে যান মেয়র।

জানা গেছে, নিকটস্থ একটি মাঠ নিয়ে অনেক দিন ধরে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা ও পুরাতন কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। উভয়পক্ষই মাঠটি নিজেদের বলে দাবি করেছে। এ নিয়ে একটি মামলাও রয়েছে। এ বিবাদের মধ্যেই মাঠটির সংস্কার কাজ শেষ করে 'বকশি বাজার কেন্দ্রীয় মাঠ' নাম দেওয়া হয়। এ নাম নিয়েই মূলত আপত্তি তোলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, মাঠটি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার নামে নামকরণ করতে হবে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে মাঠ উদ্বোধনের জন্য মেয়র তাপস গেইটে উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা চেয়ার দিয়ে গেইটের অপর পাশ থেকে ভাঙচুর করে। মাঝখানে লোহার গ্রিল থাকায় অল্পের জন্য রক্ষা পান তাপস। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে দুটি রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এসময় পুলিশের পাহারায় মাঠ উদ্বোধন না করেই ঘটনাস্থল ছেড়েছেন মেয়র তাপস।

পরে পুলিশ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে মাঠের অপর প্রান্তে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। প্রায় ১০ মিনিট ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।

জানতে চাইলে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, 'এই মাঠ নিয়ে ঢাকা আলিয়া ও কারাগারের সঙ্গে মামলা চলছে। এখনো কোনো সমাধান হয়নি। এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারি না যে মাঠ আমাদের। আবার কারাগার কর্তৃপক্ষও বলতে পারে না যে, এ মাঠ তাদের। মামলার রায় হলে মাঠ কার, তা বোঝা যাবে।'

'মেয়রের সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক। তিনি আমাদের কে বলেছেন মাঠের সৌন্দর্য বর্ধন করছেন, মাঠের খাদগুলো বরাট করেছেন। সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি উদ্বোধন করতে এসেছেন, ভালো। কিন্তু শিক্ষার্থীদের যে দাবি তা হলো মাঠের নাম নিয়ে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দাবি থাকতে পারে। কিন্তু তাদের ওপর হামলা করা, তাদেরকে রক্তাক্ত করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।'

ঘটনাস্থল থেকে ১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

লালবাগ থানা ডিসি মো. জাফর বলেন, 'আসলে আপনারা দেখেছেন শিক্ষার্থীরা প্রথমে হামলা করেছে আইনশৃঙ্খলা যেন পরিস্থিতির বাইরে না যায়, সেজন্য যতটুকু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তা আমরা করেছি। এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের সাধারণ পরিচয় তারা ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থী। আরও গভীরে গেলে মূল পরিচয় জানা যাবে।'

আটককৃত শিক্ষার্থীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার জানা মতে এখন পর্যন্ত কেউ আটক নেই। আমি লোকাল থানাগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখবো।'

এ বিষয়ে জানতে মেয়র তাপসের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English
cancellation of jamaat's registration

Forging unity with islamist parties: Jamaat eyes large electoral alliance

The vacuum in the wake of the Awami League’s departure from the political arena and the BNP’s impending reemergence as number one are leading other parties to peel away from these major players and seek to make their own spheres of alliance.

10h ago