Skip to main content
T
সোমবার, মার্চ ২৭, ২০২৩
The Daily Star Bangla
আজকের সংবাদ English
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে
  • E-paper
  • English
অনুসন্ধান English T
  • আজকের সংবাদ
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে

  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
বাংলাদেশ

পদ্মায় কেন ডুবছে গ্রামীণফোন?

বাংলাদেশের জন্য ২০২২ সালের ২৫ জুন গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেদিন উদ্বোধন হয়েছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। কিন্তু, গ্রামীণফোনের জন্য সেই দিনটি ‘বেদনাদায়ক’।
মাহমুদুল হাসান
মঙ্গলবার ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ০১:৫৫ অপরাহ্ন সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ০২:০২ অপরাহ্ন
গ্রামীণফোন

বাংলাদেশের জন্য ২০২২ সালের ২৫ জুন গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেদিন উদ্বোধন হয়েছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। কিন্তু, গ্রামীণফোনের জন্য সেই দিনটি 'বেদনাদায়ক'।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ৪ দিন পর ২৯ জুন বিটিআরসি কল ড্রপ রেট কমিয়ে আনাসহ সেবার মান উন্নত না করা পর্যন্ত গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। বিটিআরসিকে এই আদেশ জারি করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিটিআরসিকে এর আগের দিন নির্দেশনা পাঠায়।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

তবে সেবার মানের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন ঠিক কীভাবে ব্যর্থ হয়েছে, তা বলা হয়নি। কেমন মানদণ্ডে পৌঁছলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে, সে বিষয়েও কিছু বলে দেওয়া হয়নি।

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এমন নিষেধাজ্ঞা পেয়ে 'আকাশ' থেকে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব পরীক্ষায় দেখেছে যে, তারা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্ধারিত উন্নত সেবার সব মানদণ্ডের (কোয়ালিটি অব সার্ভিস) সূচক ঠিকভাবে বজায় রাখছিল।

এসব মানদণ্ডের মধ্যে ছিল কল ড্রপ রেট, কল সেটআপ টাইম, কল সেটআপ সাকসেস রেট, কল ক্লিয়ারিটি, সার্ভিস কভারেজ এরিয়া এবং ইন্টারনেট ডাউনলোড ও আপলোড স্পিড।

সম্প্রতি, বিটিআরসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত মে মাসে গ্রামীণফোনের কল ড্রপের হার ছিল ০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দেশের মোট ৪ অপারেটরের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন এবং বিটিআরসির সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের নিচে।

এ দিকে, গ্রামীণফোনের ১৩ লাখ অব্যবহৃত সিম কার্ড পুনর্ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার এক মাস পর ১৮ অক্টোবর এ সিদ্ধান্তের জন্য বিটিআরসিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, যেন দেশের শীর্ষ এই অপারেটরের ওপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ তারা।

বিটিআরসি ৬ নভেম্বর এর আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে গ্রামীণফোনের ওই ১৩ লাখ সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

কিন্তু, এই ক্ষোভের আরেকটি কারণ সম্পর্কে জানা যায় একইদিন ঢাকায় বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক ইভেন্টে।

সেখানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, 'পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ওই এলাকায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ভালো ছিল না এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে তা প্রত্যক্ষ করেছেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাদের সচিবকে (ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ) ডেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।'

ইভেন্টে সে সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন।

সেবার মান পরীক্ষার জন্য দেড় মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কেনা বেঞ্চমার্কিং ডিভাইস দিয়ে ওই ইভেন্টেই দেশের মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট গতি পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় শুধু গ্রামীণফোনই বিটিআরসি নির্ধারিত গড় ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি ১৫ এমবিপিএসের মানদণ্ড অতিক্রম করে। পরীক্ষায় গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি পাওয়া যায় ১৭ এমবিপিএস।

এর ২ দিন পর টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক ও রবি আয়োজিত ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকেও বিটিআরসি চেয়ারম্যান পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন গ্রামীণফোনের দুর্বল নেটওয়ার্কের বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করেন। ওই বৈঠকেও মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এসব যুক্তি ও প্রাপ্ত নথি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা বিধি বহির্ভূত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ দিকে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ২ মাস আগে ২৮ এপ্রিল মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) পদ্মা সেতুতে পূর্ণাঙ্গ সেবা নিশ্চিত করতে কী প্রয়োজন তা জানতে সেতুটিতে সমীক্ষা চালানোর অনুমতি চেয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেওয়া চিঠিতে অ্যামটব বলেছিল, যদি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন না করা হয়, তবে সেতুতে নেটওয়ার্ক খারাপ হবেই। কারণ, সেখানে অসংখ্য মোবাইল কাছাকাছি টাওয়ার থেকে নেটওয়ার্ক পাওয়ার চেষ্টা করবে।

টেলিকম বিশেষজ্ঞ আবু সাইদ খান বলেন, 'বিশাল পদ্মা নদী এমনিতেই রেডিও সিগন্যাল পরিবহনে একটি প্রাকৃতিক বাধা।' সেখানে আশপাশের টাওয়ার থেকে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়াও একটি চ্যালেঞ্জ।

পরে বিষয়টি নিয়ে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন অ্যামটবের মহাসচিব এস এম ফরহাদ। কিন্তু, অ্যামটবকে তখন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

এরপর ১৩ জুন সেতু উদ্বোধনের ১২ দিন আগে টেলিকম অপারেটরদের সেতুর উভয় পাশে অস্থায়ী বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন ও পোর্টেবল টাওয়ার স্থাপনে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি ও নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেওয়ার নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।

এটিকে অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞ আবু সাইদ খান। নদীর আশপাশের বেস স্টেশনের সিগন্যাল সেতুর অস্থায়ী বেস স্টেশনের সিগন্যালকে অবশ্যই বাধা দেবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'পুরো সেতুতে অস্থায়ী বেস স্টেশনের সিগন্যাল ধরে রাখতে সেতুজুড়ে অতিরিক্ত বেস স্টেশন স্থাপন বাধ্যতামূলক।'

কিন্তু, অপারেটররা তাদের কাজ করার জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র পান পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে। অপারেটররা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করতে পারেননি। যা যা স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়, তারা শুধু সেগুলোই ইনস্টল করতে পেরেছিলেন।

সেতু উদ্বোধনের আগের দিন ২৪ জুন বিটিআরসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পদ্মা সেতু ও সংলগ্ন এলাকায় পূর্ণ মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক কভারেজ নিশ্চিতে মোবাইল অপারেটরদের কাজ বিটিআরসি চেয়ারম্যান সেতু এলাকা পরিদর্শন করে যাচাই করেছেন।

সেখানে টেলিকম অপারেটরদের চেষ্টার ত্রুটি দেখা যায়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এমনকি, বাবুবাজার-ভাঙ্গা মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় গ্রামীণফোন ৫০টি সাইটে ট্রান্সমিশন ব্যান্ডউইথ বাড়িয়েছে বলেও এতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।

শেষ পর্যন্ত শুধু গ্রামীণফোনকেই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে।

টেলিকম বিশেষজ্ঞ আবু সাইদ খান আরও বলেন, 'টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির অযোগ্যতার শাস্তি পেয়েছে গ্রামীণফোন। এই খাত নিয়ন্ত্রণে তাদের যে মৌলিক কারিগরি জ্ঞানের অভাব আছে, সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মাধ্যমে তা প্রকাশ পেয়েছে।'

করপোরেট আইনজীবী কে এম তানজিব-উল-আলমের মতে, সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশের বিদ্যমান আইনবিরুদ্ধ সিদ্ধান্ত।

টেলিকম আইন ২০০১ অনুযায়ী, টেলিকম অপারেটরদের শাস্তি দিতে বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিল, লাইসেন্স স্থগিত ও জরিমানা করতে পারে। শাস্তি হিসেবে সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় না। সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা কমিশন বা মন্ত্রণালয়কে আইনে দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়াও, কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়ার আগে বা জরিমানা করার আগে, অপারেটরকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাতে হবে। এখানে তা হয়নি।

তানজিব-উল-আলম বলেন, 'তারা কোন আইন মেনে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন? এটা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী, বেআইনি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গ্রামীণফোন যদি বেআইনি কিছু করে, তাহলে আপনি তাদের বিচার করতে পারেন। যেটা হয়েছে, তা বিনা বিচারে সাজা।'

দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশের মালিকানা নরওয়েভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টেলিনর গ্রুপের। টেলিনরের ৫৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ মালিকানা নরওয়ে সরকারের।

এ অবস্থায় গ্রামীণফোনের প্রতি এমন বিরূপ আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, দেশের ব্যবসার পরিবেশ অনুকূলে নেই। অথচ ১৯৮০ সালের বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ (উৎসাহিতকরণ ও প্রতিরক্ষা) আইন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের 'বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ' করতে বাধা দেয় বলে মনে করেন আইনজীবী তানজিব।

১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামীণফোন এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, যা বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ। গ্রামীণফোন আমাদের দেশের শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বৃহত্তম।

তানজিব-উল-আলমের মতে, এ ঘটনা দেশে বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করবে, যা ইতোমধ্যেই কমতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে, সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা টেলিকম খাতের জন্য যেমন সমস্যা, তেমনি সাধারণ জনগণের জন্যও সমস্যা।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দেশে গ্রামীণফোনের টাওয়ার সবচেয়ে বেশি এবং দেশের অনেক জায়গায় এই অপারেটরের নেটওয়ার্ক সবচেয়ে শক্তিশালী। তাই এর সিমের চাহিদাও বেশি।

এ খাতে গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ। সিম নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অপর অপারেটররা এর কাছাকাছিও নেই।

বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, জুলাই-অক্টোবরে রবির মোট গ্রাহকের সংখ্যা কমেছে এবং বাংলালিংকের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যার পরিবর্তন হয়নি।

জুলাই-অক্টোবরে দেশের মোট মোবাইল সিমের গ্রাহক ২৩ লাখ ৭০ হাজার কমে ১৮ কোটি ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে।

এ প্রসঙ্গে অ্যামটবের সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা মানুষের পছন্দের স্বাধীনতাকে খর্ব করছে। তাদের ভুল কী? কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিয়ন্ত্রকের উচিত সামাজিক, ব্যবসায়িক ও অন্যান্য প্রভাব বিশ্লেষণ করা।'

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিম বিক্রিতে এমন দীর্ঘমেয়াদী স্বেচ্ছাচারী নিষেধাজ্ঞা শুধু অন্যায়ই নয় এতে গ্রাহকের স্বাধীনতা খর্ব হয় এবং এটি "স্মার্ট বাংলাদেশ" গড়ার প্রত্যয়ের বিপরীত আচরণ। এটি অসম প্রতিযোগিতার বহিঃপ্রকাশ ও লাইসেন্সিং অধিকারের বিরুদ্ধাচরণ।'

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার বক্তব্যে অটল। তিনি জোর দিয়ে বলছেন, মানসম্মত সেবা না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

গত মাসে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রামীণফোন নতুন গ্রাহকদের মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার সক্ষমতা তৈরি করেনি। অপারেটরটির সেবার মান ক্রমাগত "খারাপ" হচ্ছে।'

কল ড্রপের বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, 'প্রতি ১০ কলের ৭টিতে আমি ঝামেলা পাই।'

তার এ অভিযোগের কিছুটা সত্যতাও আছে। বড় শহরগুলোয় গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা কল ড্রপ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসিকে এক চিঠিতে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান লিখেছেন, কখনো কখনো কিছু কারণে কল ড্রপ হয়, যার নিয়ন্ত্রণ অপারেটরদের হাতে নেই।

সরকারি সংস্থাগুলো নজরদারি-নিরাপত্তার জন্য জ্যামার ও রিপিটারের মতো যেসব ডিভাইস ব্যবহার করে, সেগুলোর কারণে মোবাইল ফোনের সিগন্যাল বাধাপ্রাপ্ত হয়।

এ ছাড়া, সাধারণ জনগণও অবৈধভাবে জ্যামার বসায় এবং সিগন্যাল ভালো পেতে বুস্টার ব্যবহার করে। এগুলোও নেটওয়ার্কের মান নষ্ট করে।

গ্রামীণফোনের সিইও আরও বলেন, 'আমাদের বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে যে (বাহ্যিক কারণে) কয়েকটি স্পটে কল ড্রপ দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এর জন্য প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতি কল ড্রপের জন্য গ্রাহককে এক মিনিট বিনামূল্যে দেওয়া হবে।'

তার মতে, ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরগুলোর আশেপাশে দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে মোবাইল নেটওয়ার্কেরও সম্প্রসারণ প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশনের অনুমতি পেতে দেরি হওয়া মানে অপারেটরদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে দেরি হওয়া।

'এটা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের টাওয়ার কোম্পানির ওপর নির্ভর করতে হয় এবং টাওয়ার কোম্পানিরা আমাদের ইচ্ছামতো টাওয়ার নির্মাণের অনুমতি দেয় না,' যোগ করেন গ্রামীণফোনের সিইও।

তবে সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যা যা প্রয়োজন, গ্রামীণফোন সব করবে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপারেটরটির এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেছেন।

গত রোববার বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বিষয়ে আমার নতুন করে কিছু বলার নেই। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি।'

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত বিষয়:
গ্রামীণফোনপদ্মা সেতুবিটিআরসিমোবাইল নেটওয়ার্কগ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কবিটিআরসি চেয়ারম্যানজ্যামাররিপিটারগ্রামীণফোনের সিইওডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগমোস্তাফা জব্বারকল ড্রপবিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ
Apple Google
Click to comment

Comments

Comments Policy

সম্পর্কিত খবর

২০২২ সালের বাংলাদেশ
২ মাস আগে | বাংলাদেশ

২০২২ সাল যেমন গেল বাংলাদেশের

৬ মাস আগে | প্রবাসে

পদ্মা সেতু নিয়ে জাপান প্রবাসীদের আনন্দ উৎসব

আওয়ামী লীগ, হাছান মাহমুদ, বিএনপি, পদ্মা সেতু, চট্টগ্রাম,
১ মাস আগে | রাজনীতি

‘পদ্মা সেতু পার হয়ে জনসভায় গিয়ে বিএনপি বলে, দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি’

২ মাস আগে | বাংলাদেশ

‘গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয় বিবেচনা করব’

৮ মাস আগে | বাংলাদেশ

মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার পরও নিষেধাজ্ঞা অপ্রত্যাশিত: গ্রামীণফোন

The Daily Star  | English

HC wants info on Rab members who arrested, grilled Jasmine

The High Court today wanted to know details of Rab personnel involved in arresting and interrogating Sultana Jasmine of Naogaon, who died in Rab custody on March 24

44m ago

Sattola slum fire: Another tragedy, more stories of despair

2h ago
The Daily Star
সাহসিকতা • সততা • সাংবাদিকতা
  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
© 2023 thedailystar.net | Powered by: RSI LAB
Copyright: Any unauthorized use or reproduction of The Daily Star content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.