ঢাকায় অস্ত্রের লাইসেন্সের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শুরু, চলবে মার্চ পর্যন্ত

অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধ ও জনদুর্ভোগ কমাতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের প্রক্রিয়া বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতির আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
ঢাকায় ডিসি অফিসে স্থাপিত আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সিং বুথ পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। ছবি: এমরুল হাসান বাপ্পী/স্টার

অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধ ও জনদুর্ভোগ কমাতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের প্রক্রিয়া বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতির আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।

গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শুরু হয়েছে এবং আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'আমরা ১৯ ডিসেম্বর থেকে স্মার্ট আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অধীনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শুরু করেছি এবং এটি মার্চ পর্যন্ত চলবে।'

এটি আগ্নেয়াস্ত্রের ক্রেতা ও ডিলার উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানান তিনি।

চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৫৫১টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে গত দুই বছরে প্রায় ৫৫৪টি লাইসেন্স বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, 'এই সিস্টেমের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ সহজে অনলাইনেই আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধতা যাচাই করতে পারবে। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারীরাও সহজেই তাদের লাইসেন্স নবায়ন করতে পারে।'

বায়োমেট্রিক সিস্টেমের অধীনে দুই জায়গায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিবন্ধন করা যাবে। একটি ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এবং আরেকটি ঢাকা সেনানিবাসে।

ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, 'বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়ে গেলে আগ্নেয়াস্ত্রের স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড দেওয়া হবে।'

ঢাকা ছাড়া দেশের আরও ২৭ জেলায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন চলছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন প্রথম এই উদ্যোগ নেয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়।

Comments