ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সওজের জায়গা থেকে ২০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় সড়কের দুই পাশে প্রায় ১৫০ শতক (দেড় একর) জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় সড়কের দুই পাশে প্রায় ১৫০ শতক (দেড় একর) জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই অভিযানে মোট ২২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ। 

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জনদুর্ভোগ লাঘবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য এ অভিযান পারিচালিত হচ্ছে। শহরের মেড্ডা এলাকা থেকে ঘাটুরা এলাকার সড়কের উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। আজকে প্রথম দিনের অভিযানে মোট ১৯৮টি কাঁচা-পাকা স্থাপনা অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।'

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম মোস্তফা মুন্না বলেন, 'সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় ছোট-বড় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন অথবা দোকানঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন—এমন সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অনেক স্থাপনার মালিক আদালত কর্তৃক স্থিতাবস্থা জারির দাবি করে বিভিন্ন ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে করেছেন। এসব ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাইপূর্বক পরবর্তীতে অভিযান চালানো হবে।'

সওজ'র নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দিতে দখলদারদেরকে একাধিকবার নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই নোটিশের তোয়াক্কা করেনি। এরপর এসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সম্প্রতি মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘাটুরা এলাকা পর্যন্ত মাইকিং করা হয়। এরপরও কেউ স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। এরপর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।'

অভিযানের সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ডেইজী রায়সহ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি ছাড়াও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Influenza wave grips the nation

Influenza is emerging as a main driver behind the recent surge in viral fever cases nationwide, with rising numbers of both children and adults falling ill.

10h ago