ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ ৩ জনকে হাইকোর্টে তলব

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আরও দুই আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাসে হট্টগোল এবং বিচারককে গালিগালাজের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের তলব করা হয়।
২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলা
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আরও দুই আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাসে হট্টগোল এবং বিচারককে গালিগালাজের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের তলব করা হয়।

বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের আচরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৭ জানুয়ারি হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এই তিন আইনজীবী হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানভীর ভূঁইয়া, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী এবং আইনজীবী জুবায়ের ইসলাম।

বিচারকের সাথে অসদাচরণ এবং আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রম শুরু করা হবে না রুল জারি করে এই তিন আইনজীবীর কাছে তার জবাব চাওয়া হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) তুষার কান্তি রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠাতে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, গত ২ জানুয়ারি তানভীর, আক্কাস ও জুবায়েরের নেতৃত্বে একদল আইনজীবী একটি মামলার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে যান। আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে মামলার শুনানির জন্য বললে সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় রাজি হননি।

বিচারকের প্রত্যাখ্যানের প্রতিবাদে আইনজীবীরা আদালত কক্ষে হৈচৈ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন এবং জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ফারুক এবং আদালতের কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করেন। বিচারক এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সিদ্ধান্ত চেয়ে চিঠি পাঠান।

ডিএজি আরও বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজসহ নথিপত্র সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

 

Comments