বাংলাদেশ

কাল বা পরশু থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা আদালতে যাবেন: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, এটা আপনারা জানেন। আমি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আইনজীবী ও জজদের সঙ্গে বসেছিলাম। বসে এটা সমাধান করে দিয়েছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল অথবা পরশু দিন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা আদালতের কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নতুন অভিযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, এটা আপনারা জানেন। আমি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আইনজীবী ও জজদের সঙ্গে বসেছিলাম। বসে এটা সমাধান করে দিয়েছি। আমার মনে হয় তারা (আইনজীবীরা) আগামীকাল একটা মিটিং করে অথবা পরশু দিন থেকে আদালতের কাজ শুরু করবেন।'

এর আগে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর স্থানীয় সার্কিট হাউজে আইনজীবী সমিতির নেতা ও বিচারকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি।

বৈঠক থেকে বের হয়ে সার্কিট হাউজে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল থেকে আদালতের কাজকর্ম স্বাভাবিক হবে। আইনজীবীরা তাদের চলমান বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আদালতে যাবেন।

বৈঠকের বিষয়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঁঞা বলেন, 'আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে পেরেছি। অচিরেই সাধারণ সভা করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হবে।'

তবে কোন কোন দাবি মেনে নেয়া হয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি তিনি।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক এবং জেলা জজ আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলাম চৌধুরীর অপসারণ দাবিতে গত ৪ জানুয়ারি থেকে 'বর্জন' কর্মসূচি পালন করে আসছেন আইনজীবীরা। সবেশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইনজীবীরা জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেন। এরপর ওইদিন সাধারণ সভা করে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবারও তাদের কর্মসূচির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল।

 

Comments