ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ কার্যদিবস আদালত বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আইনজীবী সমিতি, আদালত বর্জন,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতি তিন দিনের জন্য আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ছবি: মাসুক হৃদয়/ স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি তিন কার্যদিবস আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সমিতি ভবনের সামনে এক সমাবেশে আইনজীবী নেতারা আজ থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত তিন কার্যদিবস আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।

আদালত বর্জনের কারণে জেলা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল আদালতসহ সবকটি আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। এতে দূরদূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।

আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঁঞা, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম লিটন, মাহবুবুল আলম খোকন।

এ সময় বক্তারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, গেল ১ ডিসেম্বর বিকেলে মামলা করতে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল -১ এর বিচারক মামলাটি গ্রহণ না করে আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। পরে ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। সেই সাথে আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রত্যাহারের দাবি জানায়। অথচ তাকে রক্ষায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করেছে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।

দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান বক্তারা। 

এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সময় পার হয়ে যাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক মামলাটি নেননি। তবে এ কারণে একজন বিচারককে আইনজীবীরা যেভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন তা দুঃখজনক। এই আচরণ আইন পরিপন্থী। এছাড়াও তিনি আইনজীবী কর্তৃক জেলা জজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে বলেন, জেলা জজকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য সংবিধান পরিপন্থী।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago